এবারের বাজেটে চা বাগানগুলির জন্য কোনও বরাদ্দ রাখা হয়নি,সােমবার এই মর্মে বিধানসভায় বিবৃতি দেন তৃণমূলের পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
পার্থবাবু বলেন , বাজেটে চা বাগানগুলির পুনরুজ্জীবনের জন্য কোনও অর্থ বরাদ্দ করা হয়নি।উত্তরবঙ্গের চা বাগান থেকে যা আয় হয় তা ভারতের জাতীয় অর্থনীতিকে সাহায্য করে।তা সত্ত্বেও উত্তরবঙ্গের যে চা বাগানগুলি ধুঁকছে,সেগুলিকে বাঁচানাের জন্য কোনও উদ্যোগ নেয়নি কেন্দ্রীয় সরকার।পরিবর্তে চা বাগানের শ্রমিকদের সাপ্তহিক মজুরি নগদে দেওয়া বন্ধ করে,তাদের জীবনে অনিশ্চয়তা ডেকে আনছে।
পার্থবাবুর মতে,কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন ঘােষণা অনুযায়ী রাজ্যের চা বাগানগুলির শ্রমিকদের সপ্তাহের মজুরি নগদে না দিয়ে ব্যাঙ্কের মাধ্যমে দেওয়া হবে।কিন্তু উত্তরবঙ্গের চা বাগান সংলগ্ন এলাকায় বহু জায়গাতেই কোনও ব্যাঙ্ক নেই।সেক্ষেত্রে ব্যাঙ্কের মাধ্যমে মজুরি দেওয়ার সিদ্ধান্তের অর্থ টাকা আত্মসাৎ করা।
রাজ্যের চা বাগানগুলির রুগ্ন অবস্থা নিয়ে চিন্তিত বাম এবং কংগ্রেস বিধায়করাও। ১৮৫ ধারায় তাঁরা এই নিয়ে আলােচনা করতে চেয়েছিলেন।সর্বদলীয় প্রস্তাব নিয়ে কেন্দ্রের কাছে দরবারও করতে চেয়েছিলেন।কিন্তু বিরােধী দলের আক্ষেপ এই নিয়ে বিরােধীদের,এই নিয়ে আলােচনার সুযােগ দেওয়া হচ্ছে না।বিধানসভায় বিরােধীদের বক্তব্য রাখার সময়সীমা কমানাে,বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দফতরের বিলকে গিলােটিনে পাঠিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে সােমবার বিধানসভায় বিজনেস অ্যাডভাইসরি কমিটির বৈঠক বয়কট করেন বাম এবং কংগ্রেস বিধায়করা।
তবে এদিন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বিরােধী বিধায়কদের বলেছেন, চা বাগানগুলির প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের উপেক্ষার প্রতিবাদে আপনারা মােশন আনতে পারেন বিধানসভায়।আবদুল মান্নানের মতে,চা বাগানগুলি কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে থাকলে অন্যান্য রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থার মতাে এগুলিও বিক্রি করে দেওয়া হত।চা বাগানের শ্রমিকদের ওপর স্টিম রােলার চালানাে হচ্ছে।
পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন,উত্তরবঙ্গের মানুষ ভােট দিয়ে বিজেপি সরকারকে জিতিয়ে এনেছে।কিন্তু চা বাগানগুলির জন্য কোনও বাজেট বরাদ্দ না করা তাদের প্রতি উপহার।
পার্থবাবু সােমবার জানান,কেন্দ্রীয় সরকার এই রাজ্যের নামে বদনাম করলেও বেকারিত্ব কমাতে এই রাজ্য দেশের মধ্যে শীর্ষ স্থানে রয়েছে।ইকোনমিস টাইমস-এর সমীক্ষা এই অনুযায়ী জাতীয় স্তরে বেকারির হার যেখানে ৬.১শতাংশ,এই রাজ্যে সেই হার ৪.৬ শতাংশ।যা গুজরাত ( ৪.৮শতাংশ),মহারাষ্ট্র ( ৪.১৯ শতাংশ),তামিলনাড়ু ও তেলেঙ্গানা (৭.৬ শতাংশ),রাজস্থান (৫ শতাংশ), ওড়িশা (৭.১শতাংশ)ইত্যাদি রাজ্যের থেকে অনেক কম।