কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর চক্রান্তেই শীতলকুচিতে ‘নজিরবিহীন ঘটনা ঘটেছে। আগেই তােপ দেগেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমাে। সােমবার সরাসরি এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে নিশানা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বললেন, পরিকল্পনা করেছিলেন অমিত শাহ আর সেটাকে সমর্থন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি। এটা লজ্জার। বিশেষ করে বিকল যন্ত্রের জন্য শীতলকুচির ঘটনার কোনও ভিডিও ফুটেজ না পাওয়া যাওয়ায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের তত্ত্বকে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
এমনকী এই বিষয়ে মমতার মতােই একই প্রশ্ন তুলেছে বাম নেতৃত্বও। শীতলকুচি বিধানসভার ১২৬ নম্বর বুথের বাইরে গুলিচালনার ঘটনা নিয়ে তৃণমূল এবং বিজেপির পরস্পরকে দোষারােপ অব্যাহত। এই দিনের ঘটনা নিয়ে বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে কমিশনকে রিপাের্ট দিয়েছিলেন।
সেখানকার জনতা জওয়ানদের ঘিরে ধরে অস্ত্র ছিনিয়ে নিতে চেয়েছিল। সেই সময় জওয়ানরা আত্মরক্ষার্থে গুলি চালায়। একই কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
অন্যদিকে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ওইদিন ঘটনা সবটাই হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশে। ওখানে গণহত্যা হয়েছে বলে দাবি করেন মমতা। চতুর্থ দফা ভােটের দিনে গুলিচালনার ঘটনা নিয়ে যে চাপানউতাের শুরু হয়েছে তার অকাট্য প্রমাণ থাকার কথা বুথের বাইরে রাখা ওয়েব কাস্টিং প্রযুক্তিতে। নির্বাচন কমিশনের ব্যবস্থাপনাতেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর পর্যবেক্ষণের সুবিধের জন্য এই ওয়েঙ্কাস্টিং প্রযুক্তির বন্দোবস্ত করা হয়েছিল স্পর্শকাতর বুথগুলির বাইরে।
কিন্তু সােমবার জানা গেল ওইদিন শীতলকুচির ১২৬ নম্বর বুথের বাইরে ওয়েবকাস্টিং -এর ব্যবস্থা থাকলেও তা অফলাইন ছিল। ক্যামেরা বিকল থাকায় লাইভ স্ট্রিমিং করা সম্ভব হয়নি। এছাড়া ফুটেজ রেকর্ড হলেও তা ট্রান্সমিশন করা যায়নি। প্রযুক্তিগত গােলযােগের কারণে।
সােমবার পর্যন্ত এই ত্রুটি নিয়ে জেরবার জেলা প্রশাসন। আপাতত জেলা প্রশাসন রেকর্ড করা ফুটেজ খুঁটিয়ে দেখার চেষ্টা করছে। আর এই ঘটনাই শীতলকুচির ঘটনাকে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের তকমা দিচ্ছে। যা নিয়ে সরব হয়েছেন তৃণমূল নেত্রী।
এমনকী এই বিষয়ে একই অভিযােগ করেছে বাম নেতৃত্বও। বিষয়টি নিয়ে সােমবার বিকেলে নির্বাচন কমিশনের দফতরে লিখিত অভিযােগ জমা দেন। সুখেন্দুশেখর রায় এবং ডেরেক ও ব্রায়েন। তারা প্রশ্ন করেছেন ওইদিন কি বুথের বাইরে একটা বিকল যন্ত্র লাগানাে হয়েছিল। যা খােলা যাচ্ছে না?
অন্যদিকে বিমান বসুর নেতৃত্বে বামেদের প্রতিনিধি। দলও কমিশনে গিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, কীসের ভিত্তিতে বলা হচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর থেকে অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল? তার কোনও ফুটেজ আছে কি?