• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

প্রথা ভেঙে বিধায়ক মমতাকে শপথবাক্য পাঠ করালেন রাজ্যপাল

মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আগেই শপথ নিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।নবনির্বাচিত বিধায়ক হিসেবে শপথ নেওয়ার পরে মুখ্যমন্ত্রীর আসনটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠা পেল।

বিধায়ক মমতাকে শপথবাক্য পাঠ করালেন রাজ্যপাল (Photo:SNS)

মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আগেই শপথ নিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার তার নবনির্বাচিত বিধায়ক হিসেবে শপথ নেওয়ার পরে মুখ্যমন্ত্রীর আসনটি আগামী পাঁচ বছরের জন্য সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠা পেল। স্বাধীন ভারতে এই প্রথম পশ্চিমবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীকে বিধানসভায় এসে শপথবাক্য পাঠ করালেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়।

এদিন মমতার সঙ্গেই শপথ নিলেন আরও দুই নবনির্বাচিত বিধায়ক জাকির হোসেন এবং আমিরুল ইসলাম। অন্যদিকে এদিন নজিরবিহীনভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে বিধানসভায় বিজেপির কোনও বিধায়ক উপস্থিত ছিলেন না। বৃহস্পতিবার দু’টো নাগাদ বিধানসভায় আসেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় প্রথামতো তাঁকে বিধানসভার ভেতরে নিয়ে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।

এরপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শপথবাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। সেই সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থুতনির নীচে মাস্ক থাকলেও, রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের থুতনির নীতে এমনকী গলাতেও ঝুলতে দেখা যায়নি মাস্ক। শপথ চলাকালীন কোনও মাস্কই পরতে দেখা যায়নি তাকে।

তবে কোভিডের অন্যান্য বিধি মেনে এদিন বিধানসভায় অন্য সকলেরই মুখ মাস্ক দিয়ে ঢাকা ছিল। দূরত্ববিধিও বজায় ছিল। রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে বারেবারে সরব হতে দেখা গিয়েছে রাজ্যপালকে।

কিছুদিন আগেই তিনি টুইটে উপরাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর দফতরকে ট্যাগ করে লিখেছিলেন, পশ্চিমবঙ্গের করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। কেউ কোভিড বিধি মানছে না। সংক্রমণের বিরুদ্ধে জন সচেতনতা গড়ে তুলতে জন আন্দোলনের বার্তাও দিয়েছিলেন রাজ্যপাল।

অথচ এদিন শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে তারই কোভিড সচেতনতার অভাব দেখা গেল। এদিন শপথবাক্য পাঠ করানোর পর তৃণমূলের নেতা মন্ত্রীদের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময়ও করেন রাজ্যপাল জগদীপ ঘনকড়। তারপর স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরে প্রায় কুড়ি মিনিটের মতো উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।

এর আগে রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা ইস্যুতে রাজ্য এবং রাজভবনের মধ্যে বাগযুদ্ধ রুটিন হয়ে দাঁড়িয়েছিল। সেখানে এখন সৌজন্য ও সৌহার্দ্যের বাতাবরণ। অন্যদিকে এদিন ভবানীপুরে রেকর্ড ভোটে জয়ী প্রার্থী মমতা শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে একজনও বিজেপি বিধায়কই দেখা যায়নি।

একেবারে বিরোধীশূন্য বিধানসভায় শপথ নিতে দেখা যায় মমতাকে। সূত্রের খবর, এদিন এই বিষয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, বিধায়কপদে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শপথ গ্রহণ উল্লেখযোগ্য কোনও ঘটনা নয়, যে সেখানে উপস্থিত থাকতে হবে।

এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন বিরোধী দলনেতা যদি এই ধরনের মন্তব্য করে থাকেন, তা মোটেও গণতন্ত্রের পক্ষে সুখকর নয়। বিধানসভার রীতি-নীতি সবাইকে জানতে হবে। শাসকদলের সঙ্গে অসন্তোষ, মতভেদ থাকতেই পারে, তাই বলে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান বয়কট করার মনোভাব সমর্থনযোগ্য নয়।