ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো টানেলের কাজের জেরে গত রবিবার ভাঙে বহু বাড়ি। ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে দাঁড়িয়ে ৫ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথা জানিয়েছিল মেট্রো কর্তৃপক্ষ। শনিবার প্রথম দফায় সেই চেক প্রদানের কাজ শুরু হল। এদিন ১৯টি ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের হাতে চেক তুলে দেয় কেএমআরসিএল।
বাড়ি ভেঙে যাওয়ার পরই জরুরি ভিত্তিতে বৈঠক ডাকেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মেট্রো কর্তৃপক্ষকে তড়িঘড়ি আর্থিক সাহায্য দেওয়ার দাবি জানান। এরপরই আর্থিক সাহায্য ঘােষণা করে কেএমআরসিএল। সেই মতাে ইতিমধ্যেই ১০০টি পরিবারের তালিকা তৈরি করা হয়েছে।
স্থানীয় প্রশাসনের তরফে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলির বিস্তারিত তথ্য তৈরি করা হচ্ছে। চেক পেতে যেন কোনও প্রকার সমস্যা না হয় তার জন্য। পুরসভার কাউন্সিলর আইডেনটিফিকেশন সার্টিফিকেট দেবে বলেও ঘােষণা করেছেন ফিরহাদ হাকিম। যার ফলে ব্যাঙ্কের পাশবই ছাড়া পেয়িং স্লিপ দিয়ে এই টাকা তুলতে পারবেন বাসিন্দারা।
এদিন ১৯টি পরিবারের হাতে চেক তুলে দেওয়ার পর কেএমআরসিএল-এর তরফে জানানাে হয়েছে প্রথম দফার চেক বিলি প্রক্রিয়া শেষ করা হবে আগামী সােমবারের মধ্যে। এই টাকা হাতে পেয়ে নতুন করে আবার সবকিছু তৈরির কথা চিন্তাভাবনা করছেন ক্ষতিগ্রস্থ মানুষরা।
এদিন এই চেক হাতে পেয়েই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তারা। অন্যদিকে আগামী সপ্তাহের মধ্যেই স্যাকরাপাড়া লেন, গৌরী দে লেনের ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলিকে ক্ষতিপূরণের টাকা মিটিয়ে দিতে চায় মেট্রো কর্তৃপক্ষ।
ক্ষতিগ্রস্থদের কথা মাথায় যেমন রাখা হচ্ছে, তেমনই সুড়ঙ্গ বিপর্যয় সামলানাে যায় কীভাবে, তারও কাজ চলছে। দেশ বিদেশের সুড়ঙ্গ বিশেষজ্ঞ, ভূতত্ত্ববিদরা লাগাতার কাজ করে চলেছেন। কেএমআরসিএল-এর দাবি, এখন পরিস্থিতি অনেকটাই সামাল দেওয়া গিয়েছে। এদিনও ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের একজন করে সদস্য বাড়ি থেকে মূল্যবান সামগ্রী বের করে আনেন।