হাওড়ায় ট্রেনের কামরা থেকে রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার

ট্রেনের কামরা থেকে রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল। ডাউন কাটিহার এক্সপ্রেসের বাঙ্কার থেকে চাদর চাপা দেওয়া অবস্থায় এক ব্যক্তির দেহ উদ্ধার হয়। স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে হাওড়া জিআরপি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। বছর ৫১-র সৌমিত্রবাবু পেশায় তবলাবাদক ছিলেন। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

গত মঙ্গলবার সকালে হাওড়া স্টেশনে ঢোকে ডাউন কাটিহার এক্সপ্রেস। প্রতিবন্ধীদের জন্য সংরক্ষিত কোচের বাঙ্কার থেকে সৌমিত্রবাবুর দেহ উদ্ধার হয়। মৃতদেহে ধারালো অস্ত্রের কোপ ছিল। রেল পুলিশের অনুমান, ট্রেনের মধ্যেই খুন করা হয়েছে ওই ব্যক্তিকে। মৃতের পরিবারের তরফেও একই অভিযোগ উঠেছে। বালি ঘোষপাড়ার বাসিন্দা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের কাছে কোনওরকম পরিচয়পত্র বা টিকিট ছিল না। ফলে প্রথমে তাঁর পরিচয় জানা যায়নি। পরে পরিবারের সদস্যরা দেহ শনাক্ত করেন।

সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ির লোকজনের কথায়, তালিম দিতে কাটিহার গিয়েছিলেন তিনি। সোমবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ তিনি বিহারের কাটিহার থেকে ট্রেনে চড়েন। রাতে বাড়ির লোকজনের সঙ্গে আর যোগাযোগ হয়নি। সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ ট্রেনটি হাওড়া আসে। প্রতিবন্ধী কামরার বাঙ্কে তাঁর দেহটি পড়েছিল। সেখান থেকেই উদ্ধার হয় দেহটি।


মঙ্গলবার সাড়ে দশটা বেজে যাওয়ার পরেও যখন তিনি বাড়ি না আসায় বাড়ির লোক যোগাযোগ করে বিভিন্ন জায়গায়। হাওড়া জিআরপিতে এসে জানতে পারে, রেলের কামরা থেকে উদ্ধার হওয়া দেহটি সৌমিত্রবাবুর। প্রাথমিকভাবে রেল পুলিশের ধারণা, মালদহের আগেই ট্রেনের মধ্যেঈ তিনি খুন হন। মালদহ ও তার আগের স্টেশনগুলিতে সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। খুনের কিনারা এখনও করতে পারেনি পুলিশ।