নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, ২৪ জুন : বারুইপুরের করমচা বাগানের ডোবার মধ্যে বিশেষভাবে সক্ষম এক তরুণীর মৃতদেহ রবিবার ভেসে উঠলে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। মৃতা তরুণীর পরিবারের অভিযোগ, তরুণীর প্রেমিক তাঁকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে বারুইপুর থানার পুলিশ মৃতার প্রেমিক অজয় মন্ডল ও তাঁর বন্ধু দেবাশিস নস্করকে গ্রেফতার করেছে। প্রাথমিক জেরায় ধৃতরা তরুণীকে খুনের কথা স্বীকার করেছে। ধৃতদের সোমবার বারুইপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছে। তরুণীকে গণ ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে, নাকি ডেকে আনা হয়েছিল শুধুমাত্র খুনের উদ্দেশ্যেই খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই বারুইপুর থানার পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই জানা যাবে মৃত্যুর কারণ।
সূত্রের খবর, রবিবার বারুইপুরের করমচা বাগান থেকে কাজ সেরে কয়েকজন চাষি বাড়ি ফিরছিলেন। ঐ বাগানের দিকে সাধারণত কর্মীরা ছাড়া কেউ যায় না। নির্জন জায়গার ডোবার মধ্যে মহিলার লাশ ভাসতে দেখে হইচই শুরু হয়ে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে চলে আসে বারুইপুর থানার পুলিশ।
জানা গিয়েছে, মৃতা তরুণীর বাড়ি নরেন্দ্রপুর থানা এলাকায়। তরুণী বারুইপুর এলাকায় মামার বাড়িতে এসেছিল কিছুদিন আগে। মামার বাড়ির কাছেই করমচা বাগানের ডোবায় তরুণীর দেহ উদ্ধার হয়। মামার বাড়ির গ্রামেরই যুবক অজয় মন্ডলের সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয় হয় তরুণীর। তারপর প্রেম। প্রেমিক অজয় মন্ডলের চরিত্র নাকি ভালো ছিল না। সে নাকি মহিলাদের দেখলেই অশালীন কটূক্তি করত। এ হেন অজয়ের প্রেমে পড়া বিশেষভাবে সক্ষম তরুণী, অজয়ের ডাকে সাড়া দেয়। শুক্রবার রাত আটটা নাগাদ ফোনে ডেকে পাঠায় প্রেমিক অজয়। সরল বিশ্বাসে প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে বেরোয়। কিন্তু রাতে বাড়ি ফেরেনি তরুণী। শুক্রবার রাত এগারোটার পর থেকেই ফোন বন্ধ। এরপর রবিবার নিখোঁজ তরুণীর দেহ উদ্ধার। এলাকার কিছু মানুষের ধারণা, অজয় ও তাঁর বন্ধুরা তরুণীকে গণধর্ষণ করে খুন করেছে। ধর্ষণের পর খুন কিনা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে জানা যাবে। বারুইপুর থানার পুলিশ সব দিক খতিয়ে দেখছে।