কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী জয়নগরে মৃত শিশুর দেহের ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে আসা হল কল্যাণী জেএনএম হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজে। কলকাতার মোমিনপুরের কাঁটাপুকুর মর্গ থেকে সোমবার সকালেই দেহ নিয়ে গাড়ি রওনা দেয় কল্যাণীর উদ্দেশে। পৌনে ১০টা নাগাদ সেই গাড়ি কল্যাণীতে পৌঁছায়। এই মর্গে ময়নাতদন্ত করবেন কল্যাণী এইমসের ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা।
শনিবারই দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর থানা এলাকায় ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ ওঠে। শুক্রবার দুপুরে টিউশন পড়তে গিয়েছিল চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী। পড়া শেষ হওয়ার পর ওই ছাত্রী বাড়িতে ফোন করে জানায়, সে বাড়ি ফিরছে। এর কিছুক্ষণ পর থেকেই তার আর হদিশ মিলছিল না। এরপর গভীর রাতে একটি জলাভূমি থেকে উদ্ধার হয় তার দেহ। ইতিমধ্যেই এক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
কড়া পুলিশি নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে দিয়ে এদিন ওই ছাত্রীর দেহ নিয়ে আসা হয় জেএনএম হাসপাতালে। শনিবার রাতে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীর দেহ সংরক্ষণ করে রাখা ছিল কলকাতার কাঁটাপুকুর মর্গে। সেখান থেকেই সোমবার সকালে দেহ নিয়ে আসা হয় কল্যাণীতে। রবিবারই নির্যাতিতার দেহ কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করার জন্য নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। কল্যাণী এইমসের বিশেষজ্ঞরা ময়নাতদন্ত করবেন জানিয়ে দেয় আদালত।
শুধু তাই নয়, কল্যাণী এসিজেএমের উপস্থিতিতে নাবালিকার দেহ ময়নাতদন্তের নির্দেশও দেওয়া হয় আদালতের তরফে। আর সেই প্রস্তুতি ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে। পুলিশের তদন্তে তাঁদের কোনও আস্থা নেই বলে জানিয়েছেন নিহত নাবালিকার বাবা। এছাড়াও এই ঘটনায় তথ্য প্রমাণ লোপাটের অভিযোগও করা হয়েছে ওই শিশুর পরিবারের তরফে।
মৃত শিশুর পরিবারের অভিযোগ, আরজি কর কাণ্ডের মতোই ধর্ষণের ঘটনা আড়াল করার চেষ্টা করেছে পুলিশ। এদিকে এদিন সকাল থেকেই কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালের ময়নাতদন্ত কেন্দ্র ঘিরে রেখেছে পুলিশ। পরিবারের তরফে ৫ জন সদস্য উপস্থিত রয়েছেন। কল্যাণী এইমসের সুপার অজয় মল্লিক উপস্থিত আছেন। যদিও এখনও পর্যন্ত শুরু হয়নি ময়নাতদন্তের কাজ। ম্যাজিস্ট্রেট এলেই শুরু হবে ময়নাতদন্ত।
ইতিমধ্যে পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে ময়নাতদন্ত কেন্দ্রের সামনে পৌঁছেছেন কল্যাণীর বিধায়ক অম্বিকা রায়। তিনি বলেন, পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে এসেছি।