বারাসাত থানার উদ্যোগে রক্তদান শিবিরের আয়োজন

রক্তের ঘাটতি মেটাতে শনিবার রক্তদান শিবিরের আয়োজন করলো বারাসত থানা। শনিবার বারাসাত থানা প্রাঙ্গণে ভ্রাম্যমাণ গাড়িতে করে এই রক্তদান প্রক্রিয়া চলে।

যেখানে ১০০ জন রক্তদাতা রক্তদান করেন।রাজনৈতিক দল, ক্লাব সংগঠনের পাশাপাশি এবার পুলিশ প্রশাসনকেও এই সামাজিক কাজে এগিয়ে আসতে দেখা যায়।এইদিন রক্তদান করতে আসেন বারাসাত পুরসভার একাধিক ওয়ার্ডের কাউন্সিলররাও।

রক্তদান করে মুমূর্ষু রোগীর পাশে দাড়ান সকলেই । এদিনের এই রক্তদান শিবিরে উপস্থিত ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ, সাংসদ কাকলি ঘোষ দোক্তিদার, পুরপ্রধান অশ্বিনি মুখার্জি,উপপৌরপ্রধান তাপস দাসগুপ্ত, বারাসাত জেলা হাসপাতালের সুপার সুব্রত মন্ডল,জেলা পুলিশ সুপার রাজ নারায়ণ মুখার্জি,পৌরপারিষদ সদস্য সৌমেন আচার্য্য,বারাসাত থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য, চিকিৎসক বিবর্তন সাহা সহ অন্যান্যরা।


রথীন ঘোষ বলেন,রক্ত দান করে মানুষ মানুষের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে প্রাণ বাঁচাতে এগিয়ে আসে,সেই জন্য বলা হয় রক্তদান মহৎ দান।

আবারও করোনা গ্রাফ বাড়ছে তাই সাধারণ মানুষের কাছে এই বার্তা দিতে চাই পুরোনো স্মৃতি যেনো আবার ফিরে না আসে। নতুন করে মাস্ক ও স্যানিটাইজারের ব্যবহার করুন এবং দূরত্ব বিধি পালন করুন।

এছাড়াও তিনি বলেন, আমাদের স্বাস্থ্যকর্মীরা এবং গ্রাম অঞ্চলে যে সকল আশাকর্মীরা আছেন তারা খোঁজ নিয়ে যাদের বুস্টার ডোজ হয়নি,তাদের বুস্টার ডোজ দেওয়ার ব্যবস্থা করছে।

এদিন সাংসদ কাকলি ঘোষ দোক্তিদার বলেন , করোনা মোকাবিলা শুধু প্রশাসনের তৎপরোটা থাকলে হবে না , নাগরিকদের তৎপর হতে হবে। সাবধানে থাকতে হবে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে, মাস্ক পড়তে হবে এবং বাড়ে বাড়ে তাদের হাত মুখ ধুতে হবে।

এদিন জেলা পুলিশ সুপার রাজ নারায়ণ মুখার্জি বলেন, বারাসাত ও মধ্যমগ্রামের বাজার গুলোতে সচেতনতা শুরু হবে। সচেতনতার ক্যাম্পিং থানার পক্ষ থেকে এবং পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে করা হয়,সেটা আমরা আগামী সপ্তাহের সোমবার থেকে শুরু করছি।