বাংলায় ৪ দফাতেই বিজেপি’র আসনের সেঞ্চ রি হয়ে গিয়েছে। দিদি হেরে গিয়েছেন। সােমবার বর্ধমানের সভা থেকে তৃণমূলকে এভাবেই তুলােধােনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদী।
তিনি বলেন, তফসিলি জাতির মানুষদের তৃণমূল অপমান করেছে। পুরাে দেশ জুড়ে উন্নয়ন চলছে। বাংলাতেও সব রকমের উন্নয়ন হবে। তার জন্য বিজেপি-কে ক্ষমতায় আনতে হবে। বাংলার মানুষের উপর আমার ভরসা আছে। বাংলার মানুষের আশীর্বাদ আমরা পাবই। দিদি আমার সঙ্গে শত্রুতা ঠিক আছে, কৃষকদের সঙ্গে শত্রুতা কিসের? পিএম কিষাণ নিধি প্রকল্পের টাকা পেতে দেননি দিদি।
আমরা ক্ষমতায় এলে প্রথম মন্ত্রীসভার বৈঠকেই এই সুবিধা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সব কৃষককে ১৮ হাজার করে টাকা পাবেন। তৃণমূল সরকার শুধু দুর্নীতি করেছে। ওরা চায়, বিভক্ত করাে আর রাজ করে। বিজেপি চায়, যুক্ত করাে আর সেবা করাে।
এতদিন তােলাবাজি ও লুঠ চলত। দিদির দলের নেতারা সম্পত্তি বাড়িয়েছে। আমরা এলে তােলাবাজ মুক্ত বাংলা গড়ে তুলব। বাংলার মানুষ হিংসা নয় , বিকাশ চায়। নারীর সুরক্ষা, নারীর বিকাশ, শিক্ষা, চাকরি চায়। দিদি কেন্দ্রীয় বাহিনীকে গালাগাল করবেন না। যত ইচ্ছা আমাকে গালাগাল করুন। কিন্তু বাংলার ঐতিহ্য নষ্ট করবেন না।
সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে বলেন, দিদির পুরাে দলকে মাঠছাড়া করেছে বাংলার মানুষ। দিদি চেয়েছিলেন ভাইপােকে মুখ্যমন্ত্রী করতে। কিন্তু সেই খেলা আপনারা ধরে ফেলেছেন। দিদির উপর আপনারা ভরসা করেছিলেন।
কিন্তু দিদি আপনাদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। রামমােহন, বিবেকানন্দ, রামকৃষ্ণ, হরিচাঁদ ঠাকুরের বাংলায় দিদির কাছের নেতা তফসিলি জাতির মানুষদের অপমান করছেন। দলিতদের ভিখারি বলছেন। দিদি সেই বিষয়ে কিছু বলেননি। বাংলার মানুষ এটা মেনে নেবে না।
দিদি আপনাদের সঙ্গে খেলার কথা বলেছিলেন। দিদির সঙ্গেই খেলা হয়ে গিয়েছে। নন্দীগ্রামে দিদি ক্লিন বােল্ড হয়ে গিয়েছেন। যে ভাবে কংগ্রেস ও সিপিএম ক্ষমতা থেকে যাওয়ার পর আর ফেরেনি, সে রকম দিদিও আর ফিরবে না। বাংলার মানুষ আর দিদির অপশাসন চাইছে না এবার বিজেপি সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হবে বাংলায়।
সােমবার পূর্ব বর্ধমান জেলার শহর বর্ধমানের সাইকমপ্লেক্সে মাঠে পূর্ব বর্ধমান জেলার ১৬ টি আসনের বিজেপির প্রার্থীদের নিয়ে জনসভা করতে আসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, দশ বছরে বাংলার কোনও উন্নতি হয়নি হয়েছে দলের নেতাদের উন্নতি। চলছে সিন্ডিকেটরাজ, তােলাবাজি, আর জুলুমবাজি। আর অন্যায় নয়। এবার বাংলার মানুষ দিদিকে বর্জন করবে । ভাই ভাইপােদের বর্জন করবে আর আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে।