• facebook
  • twitter
Wednesday, 22 January, 2025

সংখ্যালঘু অধ্যুষিত প্রায় ২৪ হাজার বুথে কমিটি গড়ছে না বিজেপি

এ পর্যন্ত রাজ্যের কত বুথে কমিটি হয়েছে, কতগুলি সভাপতি হয়েছে, সমস্ত চেক করা হবে। আপাতত অন্তত ৫০ শতাংশ বুথে কমিটি করতেই হবে বলে বঙ্গ বিজেপিকে জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।

প্রতীকী চিত্র

তৃণমূল থেকে একাধিক নেতাকে দলে টেনেও ‘হালে পানি’ পেল না রাজ্য বিজেপি। অবশেষে রাজ্যের সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় বুথ কমিটি গড়ার প্রক্রিয়া থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিল কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। ফলে রাজ্যের ৮০ হাজার বুথের মধ্যে প্রায় ২৪ হাজার বুথে দলের কোনও সাংগঠনিক নিয়ন্ত্রণ থাকলো না। যেহেতু সংখ্যালঘু এলাকায় কোনও জনসমর্থন নেই, সেজন্য এইসব এলাকায় সংগঠনের কোনও দরকার নেই বলে জানিয়ে দিয়েছেন দিল্লির নেতারা। প্রায় ৩০ শতাংশ বুথ বাদ দিয়েই ছাব্বিশের নির্বাচনে লড়তে চলেছে গেরুয়া শিবির।

এবিষয়ে মঙ্গলবারেই সল্টলেকে দলের রাজ্য দপ্তরে বড়সড় সাংগঠনিক বৈঠক হয় বলে সূত্রের খবর। সেই বৈঠকে এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দলের বর্তমান রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ছাড়াও বিজেপির দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক সুনীল বনসল, মঙ্গল পাণ্ডে, অমিত মালব্য সহ প্রাক্তন দুই রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও রাহুল সিনহা। কেন্দ্রীয় ও রাজ্য নেতারা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দলের বিভিন্ন জেলার জেলা সভাপতি, জেলা ও জোন ইনচার্জরা। তবে এই গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক বৈঠকে ছিলেন না রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

দলের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক সুনীল বনসল রাজ্য ও জেলা নেতাদের সতর্কবার্তা দিয়েছেন, এ পর্যন্ত রাজ্যের কত বুথে কমিটি হয়েছে, কতগুলি সভাপতি হয়েছে, সমস্ত চেক করা হবে। আপাতত অন্তত ৫০ শতাংশ বুথে কমিটি করতেই হবে বলে বঙ্গ বিজেপিকে জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। বুথ কমিটি গড়ার পাশাপাশি ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে জেলা সভাপতি নির্বাচনের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এবং ৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে মণ্ডল সভাপতি নির্বাচনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ১৬,৩৮০টি বুথে বঙ্গ বিজেপির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছে। বাকি রয়েছে আরও বহু বুথ। এদিকে দলীয় নির্দেশে বলা হয়েছে, প্রতি জেলায় অন্তত একজন মহিলা মণ্ডল সভাপতি নির্বাচন করতে হবে। প্রতিটি মণ্ডল সভাপতির সর্বোচ্চ বয়স ধার্য করা হয়েছে ৪৫ বছর। সেই সঙ্গে একজন করে তফসিলি জাতির এবং একজন তফসিলি উপজাতির মণ্ডল সভাপতিও নির্বাচিত হতে হবে। তবে সংখ্যালঘু এলাকায় বুথ কমিটি গড়ার ব্যাপারে সম্পূর্ণ হাল ছেড়ে দিয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় নেতারা।