ভােটের তােরজোর শুরু। ভােটের আগে ভােটগ্রহণ প্রক্রিয়া সর্বত্রই চলছে প্রায় শান্তিপূর্ণ ভাবে। নির্বাচন কমিশন ও পুলিশ বাহিনী সর্বত্রই সমস্ত প্রক্রিয়া শান্তিপূর্ণ করার ব্যাপারে তৎপর। তাঁরা যে এই কাজে অনেকটাই সফল তা প্রমানিত। তবুও কোথাও কোথাও কিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটছে। যেমন হাওড়ার বেলুড়।
মঙ্গলবার হাওড়ার বেলুড়ের রামকৃষ্ণ মিশন জনশিক্ষা মন্দিরে ইভিএম মেশিন চেকিং এর সময় বিজেপির সঙ্গে তৃণমূল সংঘর্ষ বেধে যায়। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন ৩ থেকে ৪ জন। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশবাহিনী যায়। বিজেপির অভিযোগ তাদের ভেতরে ঢুকতে দিতে বাধা দেয় তৃণমূল। পাশাপাশি পুলিশ এসে তাদের উপর লাঠিচার্জ করে।
যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। তাঁদের দাবি বিজেপি এক কর্মী মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। তাঁরা তৃণমূল নেতা কর্মীদের গালাগাল করে। এমনকি তৃণমূল কর্মীদের মারধর করে বিজেপির কর্মীরা বলে দাবি তৃণমূলের। আর মঙ্গলবার সকালে এই ঘটনায় উত্তাল হাওড়ার বেলুড়।
এই প্রসঙ্গে বিজেপির বালি মন্ডল ২-এর অধ্যক্ষ মনােজ সিং জানান, এখানে ইভিএম টেস্টিং ও ইভিএম কাউন্টিং এর কাজ হচ্ছিল। তৃণমূল কর্মীরা আগে এখানে এসে বেশি করে সিটে বসে যায়। আমরা বসতে চাইলে আমাদের উপর ওরা চড়াও হয়। পরে পুলিশ আমাদের উপর লাঠিচার্জ করে। এই ঘটনায় বিজেপির তিন চারজন আহত হন।
এদিন ওখানে বিজেপির এজেন্ট দেবকুমার মন্ডল বলেন, বিজেপির কর্মীরা মারধর ও গালাগাল করেনি। ওখানে তৃণমূলের কর্মীরা আমাকে বসতে দেয়নি। আমাকে মারধর করেছে। যদিও বিজেপির এই অভিযােগ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা।
তৃণমূল কর্মী সঞ্জু সামন্ত জানান, আমরা বিজেপি কর্মীদের মারধর করিনি। বিজেপি কর্মীরা আমাদের নেতৃত্বকে গালিগালাজ করছিল। মদ খেয়ে ছিল একজন। একজনের মুখ দিয়ে গন্ধ ছারছিল। আমাকে একজন বিজেপি কর্মী কামড়ে দিয়েছে। পুরাে বিষয়টি আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।