• facebook
  • twitter
Sunday, 24 November, 2024

লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের অনুদান বাড়ানোর দাবিতে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি বিজেপি সাংসদের

নাম না করে চিঠিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে ৫০ কোটি টাকা উদ্ধারের প্রসঙ্গও তুলে ধরেন জ্যোতির্ময়।

ফাইল চিত্র।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে রাজ্য সরকারি প্রকল্প লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের অনুদান বাড়ানোর অনুরোধ জানালেন পুরুলিয়ার বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো। এই মর্মে মমতাকে চিঠি লিখেছেন তিনি। চিঠিতে তিনি লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা বাড়িয়ে ২ হাজার টাকা করার আবেদন জানালেন জ্যোতির্ময়।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে জেতার পরে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের মহিলাদের কথা ভেবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প চালু করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথমে এই প্রকল্পের আওতায় মহিলাদের মাসে ৫০০ ও ১০০০ টাকা করে দেওয়া হত। পরে সাধারণ মহিলাদের মাসে ১০০০ টাকা এবং তফসিলি জাতি, উপজাতির মহিলাদের ১২০০ টাকা করে দেওয়া শুরু হয়। এই প্রকল্প নিয়ে প্রথম থেকেই প্রশ্ন তুলেছিল বিরোধীরা। বিজেপির বিধায়ক, সাংসদরা সব সময়ই এই প্রকল্পের সমালোচনায় সরব হন। এবার এই প্রকল্পের টাকা বাড়ানোর অনুরোধ জানালেন বিজেপি সাংসদ।
চিঠিতে বিজেপি সাংসদ একাধিক ইস্যুতে রাজ্য সরকারকে বিঁধেছেন। তাঁর দাবি, ‘দেশের মধ্যে বাংলায় মুদ্রাস্ফিতী সবচেয়ে বেশি। এখানে জিনিসপত্রের দাম সবচেয়ে বেশি। নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম আকাশছোঁয়া। যা সামলাতে মাসিক ১০০০–১২০০ টাকা যথেষ্ট নয়। তাই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা বৃদ্ধি করুন।’ তাঁর অনুরোধ, নারীর ক্ষমতায়নে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের অনুদান বাড়িয়ে দুই হাজার টাকা করা হোক। একথা বলতে গিয়ে তিনি মহারাষ্ট্র–মধ্যপ্রদেশ–ঝাড়খণ্ডের তুলনা টেনে আনেন।

নাম না করে চিঠিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে ৫০ কোটি টাকা উদ্ধারের প্রসঙ্গও তুলে ধরেন জ্যোতির্ময়। তিনি দাবি করেন, তৃণমূল নেতাদের ঘনিষ্ঠদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। তদন্তে দেখা গিয়েছে তাঁরা সকলেই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত।

বিজেপি সাংসদ চিঠিতে আরও লেখেন, ‘দুর্নীতির টাকা সঠিকভাবে ব্যবহার করা হলে প্রত্যেক মাসে মহিলাদের ২ হাজার টাকা দেওয়া কঠিন হবে না। অনুদান বৃদ্ধি হলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের প্রকৃত উদ্দেশ্যসাধন হবে। তা না হলে এটা শুধু ভোট কেনার হাতিয়ার হয়ে থেকে যাবে।’ উপনির্বাচনের ফলাফলের আগে বিজেপি সাংসদের এই পদক্ষেপ বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।