বাংলাদেশে লাগাতার সংখ্যালঘুদের উপর হামলা এবং চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের জামিন না হওয়ায় অযোধ্যার রামমন্দিরে যাওয়ার কর্মসূচি বাতিল করলেন শুভেন্দু অধিকারী সহ বঙ্গের বিজেপি বিধায়করা। ৬ ডিসেম্বর অযোধ্যার রামমন্দিরে রামলালার দর্শনে যাওয়ার কথা ছিল তাঁদের। ৬ ডিসেম্বর থেকে ৮ ডিসেম্বর রাজ্য বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনের ৩ দিনের বিরতি ছিল। এই সময়কালকেই অযোধ্যা সফরে যাওয়ার জন্য বেছে নিয়েছিলেন শুভেন্দুরা। কিন্তু বাংলাদেশের পরিস্থিতির প্রতিবাদে একাধিক কর্মসূচিতে শামিল হচ্ছেন বিরোধী দলনেতা সহ বিজেপি বিধায়করা। এই কারণে আপাতত অযোধ্য সফর পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। আগামী বছরের শুরুতে রামলালার দর্শন করতে যেতে পারেন বিজেপি বিধায়করা।
গত কয়েকদিন ধরে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে উত্তপ্ত রাজ্যও। পড়শি দেশে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতনের অভিযোগে এবং হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তারির প্রতিবাদে একাধিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সম্প্রতি বাংলাদেশে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলায় চিন্ময়কৃষ্ণকে গ্রেপ্তার করেছিল সেদেশের পুলিশ। তাঁর হয়ে সওয়াল করার জন্য বাংলাদেশের আদালতে কোনও আইনজীবী রাজি হননি। চিন্ময়কৃষ্ণের জামিনের আবেদনের শুনানি এক মাস পিছিয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতেই অযোধ্যা যাওয়ার কর্মসূচি বাতিল করলেন বিজেপি বিধায়করা। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে কেন্দ্রীয় বাজেট অধিবেশনে এক দিনের বিরতি থাকবে। সেই সময় শুভেন্দুর নেতৃত্বে বিজেপি বিধায়করা রামমন্দির দর্শনে যেতে পারেন। যদিও এই বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি বিজেপির কোনও বিধায়ক।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘বাংলাদেশে যেভাবে সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণ হচ্ছে, তাতে এখন রামমন্দির দেখতে যাওয়ার কর্মসূচি আমরা পিছিয়ে দিয়েছি। চিন্ময় মহারাজের জামিনের শুনানি পিছিয়ে গিয়েছে। এমতাবস্থায় আমরা এখনই রামমন্দির দেখতে যাচ্ছি না।’
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রামমন্দিরের উদ্বোধন হয়েছিল। উদ্বোধনের দিন ভগবানপুরের বিজেপি বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ মাইতি রামলালা দর্শন করে এসেছেন। সেই সময় থেকেই বিজেপির বাকি বিধায়কদের অযোধ্যা সফরে যাওয়ার ইচ্ছা ছিল। তবে এবার সব ঠিক থাকলেও বাংলাদেশের পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে নিজেদের অযোধ্যা সফর বাতিল করলেন শুভেন্দুরা।