স্কুল পরিদর্শকের অফিসে ঢুকে ‘দাদাগিরি’র অভিযোগ উঠল বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে। এই ঘটনা ঘিরে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে বাঁকুড়ায়। ব্যক্তিগত কাজে বাঁকুড়া জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের দপ্তরে গিয়েছিলেন শিক্ষক তথা ছাতনা বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক সত্যনারায়ণ মুখোপাধ্যায়। অভিযোগ, স্কুল পরিদর্শককে ‘অসভ্য’ এবং ‘অপদার্থ’ বলে চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করেন তিনি। অফিসের মধ্যেই তাঁর এই আচরণ দেখে ছুটে আসেন অন্যান্য কর্মীরা। তাঁরা প্রতিবাদও জানান।
অফিসের কর্মীদের বক্তব্য, অফিসের কর্মব্যস্ত পরিবেশকে নষ্ট করেন বিজেপি বিধায়ক সত্যনারায়ণ মুখোপাধ্যায়। একজন জনপ্রতিনিধির এমন আচরণ কাম্য নয়। তবে বিধায়ক দাদাগিরির অভিযোগ মানতে নারাজ। বিজেপি বিধায়কের অভিযোগ, বাইরের লোক ডেকে এনে হেনস্থা করা হয়েছে তাঁকে। এমনকী তাঁকে অফিস থেকে বেরও করে দেওয়া হয়েছে।
সূত্রের খবর, পিএফ লোন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে জেলা স্কুল পরিদর্শকের কাছে এসেছিলেন সত্যনারায়ণ মুখোপাধ্যায়। স্কুল পরিদর্শক বিশেষ কাজে ব্যস্ত থাকায় তাঁকে বাইরে অপেক্ষা করতে বলেন। এর জেরেই ক্ষেপে যান বিজেপি বিধায়ক। তাঁর অভিযোগ, সেই অফিসে তাঁকে ফ্যান বিহীন একটি জায়গায় প্রায় ৪০ মিনিট বসিয়ে রাখা হয়। এরপর অফিসের কর্মীদের সঙ্গে ঝামেলা শুরু করে দেন সত্যনারায়ণ মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘অপদার্থ ডিআই। কত বড় ডিআই দেখব। ৪০ মিনিট বসিয়ে রেখেছেন। সিভিক ডিআই কি না, আমার সন্দেহ হচ্ছে।’ বাঁকুড়া জেলার বিদ্যালয় পরিদর্শক পীযূষকান্তি বেরা এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
স্কুল পরিদর্শকের কার্যালয়ের এক কর্মী বলেন, ‘একজন শিক্ষক এবং জনপ্রতিনিধির কাছে এই ধরণের আচরণ কাম্য নয়। আমরা অত্যন্ত আতঙ্কিত। গোটা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আনার আবেদন করব।’ পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির বাঁকুড়া জেলা সভাপতি গোরাচাঁদ কান্ত বলেন, ‘ওই বিধায়কের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। তিনি ঝামেলা করতেই এসেছিলেন অফিসে। ছাতনার বিজেপি বিধায়ক সরকারি কাজে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছেন। আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ করা হোক।’