৬ কেন্দ্রের উপনির্বাচনে দাঁত ফোটাতে পারেনি বিরোধীরা। ৬টি আসনের সবকটিতেই জয় পেয়েছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, তৃণমূলের বিরুদ্ধে হাজারও প্রচার চালালেও বাংলার জনগণ যে এখনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপরই ভরসা রাখেন, তা স্পষ্ট উপনির্বাচনের ফলাফলে। খুব বড় অঘটন না ঘটলে ২০২৬-এ যে তৃণমূলের আসন সংখ্যা আরও বাড়তে চলেছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এহেন পরিস্থিতিতে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে দেখা করলেন গোঘাটের বিজেপি বিধায়ক বিশ্বনাথ কারক। আর এই সাক্ষাৎ ঘিরেই শুরু হয়েছে জল্পনা।
শুক্রবার পুরভবনে আসেন বিশ্বনাথ কারক। মুখ মাস্কে ঢেকে রাখলেও পুরকর্মীদের অনেকেই তাঁকে চিনতে পেরেছিলেন। মুহূর্তে সে খবর পৌঁছে যায় মিডিয়ার কাছেও। শাসকদলের দাপুটে বিধায়ক-মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদের সঙ্গে বিশ্বনাথের সাক্ষাৎ ঘিরে শুরু হয় দল বদলের গুঞ্জন। এর আগে বামফ্রন্টের বিধায়ক ছিলেন বিশ্বনাথ। পরে বিজেপিতে যোগ দেন। অতীতে দলবদলের ইতিহাস থাকায় বিশ্বনাথের জোড়াফুল শিবিরে যোগদান নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে যায়।
যদিও বিজেপি বিধায়ক বিশ্বনাথ কারক দলবদলের জল্পনায় জল ঢেলে দিয়েছেন। তিনি বলেন, জন প্রতিনিধি হিসেবে হাকিম সাহেবের কাছে এসেছিলাম। অন্য মানে করাটা ঠিক হবে না। আরামবাগ পুরসভা এলাকায় গ্রিন সিটির কাজ করার নামে প্রায় ৯ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। এই ব্যাপারে পুরসভার চেয়ারম্যান পুর বিভাগকে চিঠিও লিখেছেন। আমিও এই দুর্নীতির বিষয়ে কিছু তথ্য পেয়েছি, ব্যক্তিগতভাবে মন্ত্রীকে জানিয়ে গেলাম। এই ব্যাপারে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের কোনও প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।