• facebook
  • twitter
Friday, 11 April, 2025

ক্ষমতা হারাল বিজেপি, তৃণমূলের দখলে আরও এক পঞ্চায়েত

দার্জিলিং জেলার খড়িবাড়ি ব্লকের বিন্নাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান আলাকসু লাকড়া বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।

ফাইল ছবি

উত্তরবঙ্গের আরও একটি পঞ্চায়েত দখল করল তৃণমূল কংগ্রেস। দার্জিলিং জেলার খড়িবাড়ি ব্লকের বিন্নাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান আলাকসু লাকড়া বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। বিজেপির গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য লক্ষ্মী কিসকু হেমব্রমও জোড়াফুল শিবিরে নাম লিখিয়েছেন। এর ফলে ওই পঞ্চায়েত তৃণমূলের দখলে এল। প্রায় আড়াই বছর পর এখানে ক্ষমতার স্বাদ পেল রাজ্যের শাসকদল। এই নিয়ে মহকুমার ২২টি গ্রাম পঞ্চায়েত পূর্ণাঙ্গভাবে তৃণমূলের দখলে চলে গেল। খড়িবাড়ি তারিজোত শিক্ষাকেন্দ্রের মাঠে যোগদান কর্মসূচিতে কিসকু ও আলাকসু তৃণমূলে যোগ দেন। তাঁদের দলে স্বাগত জানান তৃণমূলের জেলা সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষ।

৮০টি পরিবারও বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছে। যোগদান কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের যুব সভাপতি নির্ণয় রায়, জেলা সম্পাদক মলয় ঘোষ, শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি রোমা রেশমি এক্কা, ব্লক সভাপতি কিশোরীমোহন সিংহ প্রমুখ। বিজেপির ন্যাশনাল কাউন্সিলের মেম্বার গণেশ দেবনাথ বলেন, আমরা ওদের বোঝানোর চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু লাভ হয়নি। প্রলোভনে পা দেওয়ায় ওঁরা কোনও কথাই শুনতে রাজি হননি। জনগণই এর বিচার করবে। অন্যদিকে দলবদলকারী আলাকসু বলেন, মানুষের স্বার্থে কাজ করার জন্য তৃণমূলে যোগ দিয়েছি।

শেষ নির্বাচনে ১৩ আসনবিশিষ্ট বিন্নাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল ৯টি আসন পেয়েছিল। প্রধান পদটি তপশিলি উপজাতির জন্য সংরক্ষিত ছিল। কিন্তু তৃণমূলের কোনও জয়ী সদস্যই তপশিলি উপজাতি ছিলেন না। স্বাভাবিকভাবেই রোস্টার অনুযায়ী বিজেপির তপশিলি উপজাতিভুক্ত আলাকসু প্রধানের পদটি পেয়ে যান। সেই আলাকসুই এদিন জোড়াফুল শিবিরে নাম লেখালেন। তৃণমূলের জেলা সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষ বলেন, আলাকসু ও লক্ষ্মী তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় আমাদের দল আরও শক্তিশালী হল। আলাকসুকেই প্রধান করা হচ্ছে।