• facebook
  • twitter
Sunday, 13 April, 2025

রামনবমীতে রাজ্য জুড়ে শক্তি প্রদর্শন বিজেপি নেতাদের

নন্দীগ্রামে রামমন্দিরের শিলান্যাস করে হিন্দুত্বের জিগির তুললেন শুভেন্দু

সোনাচূড়ায় রামমন্দিরের যজ্ঞানুষ্ঠানে শুভেন্দু অধিকারী।

অনেক আগেই বাংলায় রামমন্দির নির্মাণের জিগির তুলেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, রামনবমীর দিনেই এই মন্দিরের সূচনা করা হবে। অবশেষে পূর্ব পরিকল্পনা মতো রবিবার নন্দীগ্রামে রামমন্দিরের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করে হিন্দুত্বের জিগির তুলেলেন বিরোধী দলনেতা। পাখির চোখ, ২০২৬-এর বিধানসভা ভোট। সেজন্য রামনবমীর দিনে এই মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে হিন্দু ভোটকে গেরুয়ামুখী করার কৌশল অবলম্বন করলেন।

রবিবার সোনাচূড়ায় এই রামমন্দিরের শিলান্যাস করেন তিনি। এদিন সেখানে একটি যজ্ঞানুষ্ঠানের ব্যবস্থা করা হয়। শুভেন্দু যজ্ঞ করার সময় হিন্দু ভোট মেরুকরণের বার্তা দেন। তিনি বলেন, ‘রাম আস্থার প্রতীক। পশ্চিমবঙ্গের হিন্দুদের ভাগাভাগি করা যাবে না। এখানে এখন গেরুয়া স্রোত বইছে। রাত ১০টার মধ্যে বাংলা দখল হয়ে যাবে।’ তবে এটাই প্রথম নয়, আগের দিন শনিবার রানাঘাট থেকেও একই বার্তা দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। তিনি হিন্দুদের একজোট হওয়ার ডাক দিয়েছেন তিনি। রবিবার রামনবমীর দিনে সোনাচূড়ায় রামমন্দিরের শিলান্যাসের যজ্ঞানুষ্ঠানে তার ব্যতিক্রম হল না।

তবে এদিন শক্তি প্রদর্শনে কিছু কম যাননি বিজেপির অন্যান্য নেতা-নেত্রীরা। সৌমিত্র খাঁ থেকে শুরু করে মহিলা নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল, লকেট চট্টোপাধ্যায়, ফাল্গুনী পাত্র প্রত্যেকেই আলাদা আলাদাভাবে রামনবমীর শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করে নিজেদের ক্ষমতা প্রদর্শন করেছেন। এদিন তরোয়াল হাতে নিয়ে মিছিলে হাঁটেন বিজেপি বিধায়ক ও নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল। তরোয়াল উঁচিয়ে স্লোগান দিলেন ‘জয় শ্রীরাম’। রাধানগর রোড যুব সমিতির ক্লাবে পাগড়ি বিতরণ অনুষ্ঠানে অগ্নিমিত্রা বলেন, ‘এরাজ্যে হিন্দুরা সংকটে। রামনবমীর মিছিল বা আখড়ার অনুমতি দিচ্ছে না সরকার। তবে বাধা সত্ত্বেও আজ রাজ্যে ২ কোটি সনাতনী হিন্দু রাস্তায় থাকবে।’

এদিকে বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ-কেও দেখা গেল স্বমহিমায়। তিনি সকালে মন্দির শহর বিষ্ণুপুরের রাস্তায় রামনবমীর শোভাযাত্রায় সামিল হন। তাঁর পরনে ছিল গেরুয়া পোশাক। লাল-সাদা পাঞ্জাবি ও ধুতিতে সেজেছিলেন সৌমিত্র। মিছিলে হাঁটার সঙ্গে সঙ্গে লাঠিখেলাতেও অংশগ্রহণ করতে দেখা যায় তাঁকে। এভাবে রামনবমীর দিনে বিজেপির নেতৃত্বে হিন্দুত্বের প্রদর্শনী হয় বিষ্ণুপুরে। সাংসদ সৌমিত্রও রামনবমীর মিছিলে অংশগ্রহণের পর অন্যদের মতো হিন্দুত্বের বার্তা দেন মানুষকে। তিনি সেই ২০২৬-এর নির্বাচনকে পাখির চোখ করে হিন্দুদের গেরুয়ামুখী করার বার্তা দিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘হিন্দু ধর্ম এবং হিন্দু সনাতনী মহিলাদের রক্ষার জন্য লাঠি ধরতে হবে হাতে। অন্যদের মতো আমি তো অস্ত্র ধরতে বলতে পারি না।’

আবার নিউটাউনে রামনবমীর মিছিলে দেখা গেল হুগলির প্রাক্তন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কে। তিনি একটি স্কুটিতে চেপে এই মিছিলে অংশগ্রহণ করেন। এভাবে তাঁরা ২০২৬-এর বিধানসভা ভোটের আগে রামনবমীর মিছিলের মাধ্যমে রাজ্যজুড়ে রাজনৈতিক প্রচার শুরু করে দিলেন।