• facebook
  • twitter
Monday, 16 September, 2024

আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে শ্যামবাজারে ধরনা বিজেপির; উপস্থিত শুভেন্দু, সুকান্তরা

বেলা ১২ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত টানা ৫ দিন চলবে এই কর্মসূচি

আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে বুধবার থেকে শ্যামবাজারে ধরনা কর্মসূচির ডাক দিল বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। বেলা ১২ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত টানা ৫ দিন চলবে এই কর্মসূচি। আর জি করে কর্তব্যরত চিকিৎসক খুন ও ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে অবিরাম চলছে প্রতিবাদ। এরই মধ্যে আদালত গতকাল শান্তিপূর্ণ জমায়েতের অনুমতি দিয়েছে। সেই নির্দেশ মেনে এদিন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা শান্তিপূর্ণ ধরনা কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন। এই ধরনা মঞ্চের নেতৃত্বে আছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সকলের গলায় এখন একটাই দাবি ,মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি পদত্যাগ। আর জি করে আসল দোষীদের শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন সকলেই। গতকাল বিজেপি রাজ্য সভাপতি সকান্ত মজুমদার সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছিলেন, ‘সিপি-কে কম্পালসারি ওয়েটিং–এ পাঠিয়ে মুখ্যমন্ত্রী আপনি পদত্যাগ করুন। তৃণমূল কাউন্সিলর, চেয়ারম্যান নির্যাতিতার নাম বলে দিচ্ছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। কিন্তু বিজেপির সাংসদ, কর্মী এমনকী চিকিৎসকদেরও তলব করা হচ্ছে। কাউকে বাঁচানোর চেষ্টা চলছে।’

এদিন শ্যামবাজারে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা গলায় প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে, স্লোগান দিয়ে ধরনা কর্মসূচি চালিয়েছেন। এই ধরনা মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন লকেট চট্টােপাধ্যায়, অগ্নিমিত্রা পাল, দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অভিকারীর মতো বিজেপির নেতা নেত্রীরা।

আর জি কর কাণ্ড নিয়ে রাজ্য বিজেপির আন্দোলন তেমন জোড়ালো নয় বলে কয়েকদিন ধরেই প্রশ্ন উঠছিল। রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল হিসেবে বিজেপির আন্দোলন আরও সংঘবদ্ধ হওয়া উচিত ছিল বলে মনে করছিল কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। মঙ্গলবার এই নিয়ে কড়া ভাষায় রাজ্য নেতৃত্বের নিন্দা করা হয়েছে বলে বিজেপি সূত্রে খবর। এই বার্তা পাওয়ার পরই বুধবার থেকে ৫ দিনের দীর্ঘ ধরনা কর্মসূচির পরিকল্পনা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিজেপির স্বাস্থ্য ভবনের ডাক সফল করতে সমস্ত খুঁটিনাটি বিষয়ের দিকে নজর দিচ্ছে বিজেপি। তবে বিজেপির কেন্দ্রীয় নির্দেশের বিষয়ে কিছু বলতে নারাজ সুকান্ত মজুমদার। বুধবার মঞ্চ থেকে সুকান্ত বলেন,’আমরা তো আন্দোলনেই রয়েছি।কলকাতা পুলিশ কমিশনারের অপসারণ এবং মুখ্যমন্ত্রীর অপসারণের আগে আমাদের আন্দােলন থামবে না।’

এক কথায় এই আন্দােলনের মধ্যে দিয়ে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির ভবিষ্যৎ সুনিশ্চিত করতে চাইছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।