তুঙ্গে গোষ্ঠীকোন্দল, বিজেপি নেতার কপাল ফাটালেন দলেরই নেতা

ফের প্রকাশ্যে বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দল। এবার চেয়ারের পায়া দিয়ে মেরে বিজেপির নেতার কপাল ফাটানোর অভিযোগ উঠল আরেক বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে। রবিবার রাতে নদিয়ার কল্যাণীর শ্যামাপ্রসাদ ভবন এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। বিজেপির পার্টি অফিসের সামনেই ঘটেছে এই ঘটনা।

বিজেপির পার্টি অফিসের সামনে কালী পুজো হচ্ছিল। সেখানে বসেছিলেন এসসি মোর্চার রাজ্য কমিটির সদস্য শ্রীনিবাস মণ্ডল। অভিযোগ, সেই সময় কল্যাণী-গয়েশপুরের বিজেপির মণ্ডল সভাপতি বিশ্বজিৎ পাল দলবল নিয়ে এসে হামলা চালায় শ্রীনিবাসের ওপর। চেয়ার, টেবিল দিয়ে তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এমনকি চেয়ারের পায়া দিয় তাঁর কপাল ফাটিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন শ্রীনিবাস মণ্ডল।

কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয় শ্রীনিবাস মণ্ডলকে। তাঁর কপালের ডান দিকে আঘাত রয়েছে। কল্যাণী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। শ্রীনিবাস মণ্ডল বলেন, পার্টি অফিসের সামনেই ঘটনাটি ঘটেছে। বিশ্বজিৎ পাল বিধায়ক অম্বিকা রায়ের ঘনিষ্ঠ। হঠাৎ দলবল নিয়ে এসে আমাকে মারধর করে। হুমকি দিতে থাকে। আমার কপাল ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে। কল্যাণী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।


এদিকে কল্যাণী মণ্ডল-২ এর যুব সভাপতি মধুসূদন দাস কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁকে মারধর করার অভিযোগ ওঠেছে শ্রীনিবাস মণ্ডলের বিরুদ্ধে। গয়েশপুরের বিজেপির মণ্ডল সভাপতি বিশ্বজিৎ পাল বলেন, শ্যামাপ্রসাদ ভবনে কালী পুজোতে আমাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। আমরা তাই সেখানে গিয়েছিলাম। ওখানে পৌঁছতেই শ্রীনিবাস মণ্ডল আমাদের উদ্দেশ্যে কটূক্তি করতে থাকেন। প্রতিবাদ করতে গেলে যুব সভাপতি মধুসূদন দাসকে চেয়ার দিয়ে মাথায় মারেন শ্রীনিবাস। মধুসূদনকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। আমরা কেউ শ্রীনিবাসকে মারধর করিনি।

পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার বিশ্বজিৎ পালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের বক্তব্য, এটাই বিজেপির কালচার। নিজেদের মধ্যে মারামারি করে। ওরা গোষ্ঠীকোন্দলে জেরবার।