• facebook
  • twitter
Friday, 29 November, 2024

ফের বিধানসভা বয়কট বিজেপির

শুক্রবার 'ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে'- অভিযোগে কক্ষে মুলতুবি প্রস্তাব আনা হয়েছিল। শুভেন্দু অধিকারী, শঙ্কর ঘোষ, মনোজ ওঁরাও, অশোক দিন্দা, দীপক বর্মন একযোগে এই অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিলেন।

বিরোধীরা ওয়াকআউট করছেন বিধানসভা থেকে। নিজস্ব চিত্র।

বুধের পর শুক্রবার। ফের বিধানসভা বয়কট করলেন বিজেপির বিধায়করা। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ, ‘ধর্মাচরণে বাধা তৈরি করছে রাজ্য়। এ ব্যাপারে বিধানসভায় আলোচনা চেয়েছিলাম। অথচ অধ্যক্ষ নিজেই সেই প্রস্তাব খারিজ করে দিলেন। গরিষ্ঠতা, দম্ভ, অহঙ্কার দিয়ে বিধানসভার মধ্যেও বিরোধীদের কণ্ঠরোধের চেষ্টা হচ্ছে। বাধ্য হয়েই ওয়াকআউট।’ এ ব্যাপারে অধ্যক্ষর প্রতিক্রিয়া অবশ্য জানা যায়নি।
বুধবার রাজ্যের নারী ও শিশু সুরক্ষা নিয়ে বলতে না দেওয়ার অভিযোগে বিধানসভা বয়কট করেছিলেন গেরুয়া বিধায়করা। আর শুক্রবার ‘ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে’- অভিযোগে কক্ষে মুলতুবি প্রস্তাব আনা হয়েছিল। শুভেন্দু অধিকারী, শঙ্কর ঘোষ, মনোজ ওঁরাও, অশোক দিন্দা, দীপক বর্মন একযোগে এই অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিলেন।
শুভেন্দুর অভিযোগ, বৃহস্পতিবার বীরভূমের পুরন্দরপুরে বজরং বলীর মূর্তি ও মন্দির ভাঙা হয়েছে। এ ব্যাপারেই আলোচনা চাওয়া হয়েছিল। তাঁর কথায়, ‘ভারতীয় সংবিধানের ধর্মের স্বাধীনতার কথা বলা আছে। যা বারেবারে লঙ্ঘিত হচ্ছে। যেমন ফালাকাটা, গার্ডেনরিচ, রাজাবাজার, নোদাখালি, বেলডাঙা- বিশেষ সম্প্রদায় হিন্দুদের অনুষ্ঠানে বাধা তৈরি করছে। অবিলম্বে এই জিনিস বন্ধ করা উচিত। অথচ রাজ্য এ বিষয়ে ব্যর্থ। সভায় এ বিষয়ে আলোচনার দাবি জানালে তা খারিজ করা হয়।’
বিরোধী দলনেতার আরও প্রশ্ন, ‘দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি, হিন্দুদের বড় অংশ বিজেপিকে ভোট দিলেও একটা অংশ এখনও তৃণমূলকে সমর্থন করে। যাঁরা ভোট দেন, তাঁদের প্রশ্ন করতে চায়, কাদের পাঠিয়েছেন আপনারা?’
যদিও বিজেপির এই বয়কট নিয়ে সরকারপক্ষ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।