২০১৬ সালে বিধানসভার নির্বাচনের আগে নারদা স্ট্রিং অপারেশন নিয়ে তােলপাড় হয়েছিল সারা দেশ। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ নারদা দুর্নীতি নিয়ে মামলায় তদন্তভার গ্রহণ করে থাকে সিবিআই। পাঁচ বছর পুরাতন এই মামলায় সােমবার আচমকাই কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে রাজ্যে অভিযান চালায় সিবিআই।
সেখানে রাজ্যের দুই মন্ত্রী সুব্রত মুখার্জি ও ফিরহাদ হাকিম, বিধায়ক মদন মিত্র সহ কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়র শােভনদেব চট্টপাধ্যায়দের বাড়ি থেকে নিয়ে এসে গ্রেপ্তার দেখায় সিবিআই। সিবিআইয়ের এহেন অতিসক্রিয়তার বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল।
সেখানে রাজ্যপাল কে রক্তচোষা পাগলা কুকুর উপমা থেকে মুকুল রায়-শুভেন্দু অধিকারীকে কেন গ্রেপ্তার করা হলােনা, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল। ঠিক এইরকম পরিস্থিতিতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘােষ জানিয়েছেন- ‘অতীতে নরেন্দ্র মােদী, অমিত শাহকে সিবিআই তলব করলেও আমরা রাস্তায় নামেনি।
শুভেন্দু-মুকুলদের নিয়ে সিবিআই তদন্ত নিয়ে বলেন-তথ্যপ্রমাণ অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করছে সিবিআই’। বর্ষীয়ান তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় ইতিমধ্যেই সিবিআইকে খাঁচায় বন্দি তােতাপাখির সাথে তুলনা করেছেন। মুকুল রায় বর্তমানে করােনা পজিটিভ রয়েছেন।
মুকুল রায়কে নারদা দুর্নীতিতে টাকা নিতে দেখা যায়নি বলে দাবি রাজ্য বিজেপির এক নেতার। তবে শুভেন্দু অধিকারী প্রসঙ্গ এড়িয়ে গেছেন ওই নেতা। বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা জানিয়েছেন -এই অভিযান বিধানসভার নির্বাচনের আগে হলে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলে সােরগােল ফেলে দিত তৃণমূল। এখন ভােট পরবর্তী হিংসায় রাজনৈতিক প্রতিহিংসা তারা মেটাচ্ছে।