ত্রুটিপূর্ণ হলফনামার জন্য বাতিল হল দীনেশ বাজাজের মনোনয়ন। ফলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাজ্যসভার পঞ্চম আসনে নিশ্চিত হয়ে গেল বামফ্রন্টের প্রার্থী বিকাশ ভট্টাচার্যের প্রার্থীপদ। দীনেশের পঞ্চম আসনে প্রার্থী হওয়াকে তৃণমূল এবং বিজেপি’র ষড়যন্ত্র হিসেবেই দেখছিলেন বামফ্রন্টের প্রার্থী বিকাশ ভট্টাচার্য। বাজাজ সরে যাওয়ায় বিধায়ক ভাঙিয়ে ‘ঘোড়া কেনাবেচা’র রাজনীতি পরাস্ত হল বলে মনে করছেন বিকাশবাবু।
অন্যদিকে মঙ্গলবার স্ক্রুটিনির পর মৌসম নূরের মনোনয়নও গৃহীত হল। আজ বুধবার বিকেল পর্যন্ত মনোনয়ন প্রত্যাহারের সময় রয়েছে। তারপরই পাঁচ প্রার্থীকে রাজ্যসভার সাংসদ পদের জন্য সার্টিফিকেট দেওয়া হবে।
রাজ্যসভার প্রার্থী পদে দীনেশ ত্রিবেদী, সুব্রত বক্সি, অর্পিতা ঘোষ এবং বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের মনোনয়ন আগেই গৃহীত হয়েছিল। কিন্তু কিছু তথ্যগত অসম্পূর্ণতা ও অসংগতির জন্য তৃণমূল সমর্থিত নির্দল প্রার্থী দীনেশ বাজাজ এবং তৃণমূলের মৌসম নূরের মনোনয়ন স্ক্রুটিনি পর্বে আটকে গিয়েছিল। এই দুই প্রার্থীরই মনোনয়ন সংক্রান্ত ক্রটি গুলি লিখিতভাবে নির্বাচন কমিশনের নজরে এনেছিলেন বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেস দলের প্রতিনিধিরা। তাদের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতেই প্রথম পর্যায়ে মৌসম নুর এবং দীনেশ বাজাজের মনোনয়ন আটকে যায়।
মঙ্গলবার দীনেশ বাজাজ এবং মৌসম নূর বিধানসভার সচিব তথা রিটার্নিং অফিসারের দফতরে এসেছিলেন। হাজির হয়েছিলেন বাম-কংগ্রেস জোটের প্রার্থী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যও। বিকেল পাঁচটা নাগাদ জানা যায় মৌসম নূরের মনোনয়ন গৃহীত হলেও বাতিল হয়ে যায় দীনেশ বাজাজের মনোনয়ন। আর সেই সুত্রে নিশ্চিত হয়ে গেল কংগ্রেস সমর্থিত বামফ্রন্টের প্রার্থী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য।
বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, মৌসম নূরের মনোনয়ন যে গ্রাহ্য হবে, সেকথা তারা আগেই জানতেন। তবে ত্রুটিগুলি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেওয়ার জন্যই তারা অভিযোগ এনেছিলেন। কিাশবাবু বলেন, দীনেশ বাজাজকে পঞ্চম আসনে প্রার্থী দিয়ে বিধায়ক ভাঙিয়ে নেওয়ার খেলায় মেতেছিল তৃণমূল। পর্দার আড়ালে সেই ছক বানচাল হয়ে গেল। মানুষ আশা করি সত্যিটা বুঝতে পারবে।
দীনেশ বাজাজ অবশ্য তাঁর মনোনয়ন দাখিল ত্রুটিপূর্ণ ছিল বলে মনে করছেন না। তবে মনোনয়ন বাতিল হওয়ার পরেও এদিন তিনি প্রার্থীদের শুভেচ্ছা জানাতে ভোলেননি।