রামপুরহাটের ঘটনা নিয়ে বিধানসভায় দ্বিতীয়ার্ধে বিবৃতি দেন পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, আমি খুব দুঃখিত। এটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। পাশাপাশি তিনি বলেন এটি একটি বৃহত্তর রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র।
আইসি ও এসডিপিও-কে ক্লোজ করা হয়েছে। এডিজি সিআইডি-র নেতৃত্বে সিট গঠন করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে গেছেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
এছাড়া আইজি বর্ধমান রেঞ্জ, এসপি এবং ডিএম ঘটনাস্থলে গেছেন। যারা অপরাধ করেছে তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং সংশ্লিষ্ট পরিবারগুলোকে ক্ষতিপূরণও দেওয়া হবে। আমরা চাই এলাকায় শান্তি ও স্থিতাবস্থা বজায় থাকুক।
অধিবেশন কক্ষের বাইরে পার্থ চট্টোপাধ্যায় শুভেন্দু অধিকারীর করা একটি মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করেন। শুভেন্দু এই ঘটনায় ৩৫৫ ধারা দাবি করেছেন।
পার্থবাবু এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বলেন, মস্তিষ্কের কোনও স্থিরতা নেই। যে কোনও ইস্যুতেই এইসব কথা বলেন। তিনি আবারও বলেন, এটি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র রাজ্যের সম্মানহানি যাতে হয় সেজন্য করা হয়েছে।
রাজ্যপালকে ফোন করছে, রাজভবনে যাচ্ছে, বিধানসভায় যে বিবৃতি দেওয়া হল, তারা সেটা জানেও না, চায়ও না আসলে ওদের দলটা খোকাবাবুদের দল হয়ে গেছে। আর রাজ্যপালকে নিয়ে আমি কোনও মন্তব্য করতে চাই না।
তাঁর পদের যে সম্মান, মাধুর্য, মর্যাদা কেন্দ্রের বঞ্চনার থা তাঁর বক্তব্যে শোনা যায় না। কেন্দ্রের শাসক দলের পক্ষেই তিনি বলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সার্বিক উন্নয়নের যে রথ চালিয়েছেন, তাকে বিঘ্নিত করার চেষ্টা হচ্ছে। বিশৃঙ্খলা তৈরিরও চেষ্টা করা হচ্ছে। পরাজিত হয়ে ওদের শিক্ষা হয়নি। আসলে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা হচ্ছে।