বড় পদক্ষেপ ইডির, মালিয়া, নীরবদের সঙ্গে পলাতকের সারিতে বিনয় মিশ্রও!  

Coal mine.

এবার কয়লা পাচার কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত বিনয় মিশ্রকেও অর্থনৈতিক অপরাধে পলাতক আসামি ঘোষণা করতে চলেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।

বিজয় মালিয়া, নীরব মোদিদের মতোই বিনয়কে ‘ফিউজিটিভ ইকোনোমিক অফেন্ডার’ বা অর্থনৈতিক অপরাধে পলাতক আসামি ঘোষণা করতে দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।

সূত্রের খবর, বুধবার পাতিয়ালা হাউস কোর্টে বিনয় মিশ্রকে আর্থিক অপরাধী ঘোষণার দাবিতে আবেদন জানিয়েছে ইডি।


বলে রাখা ভাল, ২০১৮ সালে ‘ফিউজিটিভ ইকোনোমিক অফেন্ডার’ আইন আনে সরকার। এই আইন মোতাবেক, যারা ভারতে অর্থনৈতিক অপরাধ করার পর ফেরার হয়েছে, তাদের দেশে ও বিদেশে থাকা সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে পারবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি।

অর্থাৎ, আদালত যদি বিনয় মিশ্রকে ‘ফিউজিটিভ ইকোনোমিক অফেন্ডার’ ঘোষণা করে। তবে ভারতে ও বিদেশে থাকা তার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে পারবে ইডি।

উল্লেখ্য, নীরব মোদি, মেহুল চোকসিদের মতো বিনয় মিশ্রও পলাতক। শাস্তির হাত থেকে বাঁচতে ভিন দেশে পালিয়ে সেখানকার নাগরিকত্ব নিয়েছে কয়লা ও গরু পাচার চক্রের অন্যতম মূল পান্ডা বলে খবর সিবিআই সূত্রে।

জানা গিয়েছে, প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপরাষ্ট্র ভানুয়াতুর নাগরিকত্ব নিয়ে সেখানেই গা ঢাকা দিয়েছে বিনয়। সিবিআইয়ের দাবি, ওই রাষ্ট্রের নাগরিক হওয়ায় বিনয় ভারতীয় দূতাবাসে নিজের পাসপোর্ট জমা দিয়েছে।

২০২১ সালের শুরুর দিকে কয়লা ও গরু পাচার কাণ্ডের কিনারায় সিবিআইয়ের তৎপরতা দেখে অভিযুক্ত ব্যবসায়ী বিনয় মিশ্র বাংলা ছেড়ে মুম্বই হয়ে পালিয়ে যায় দুবাইয়ে। এমনই শোনা গিয়েছিল সেসময়।

এরপর একাধিকবার ভিনদেশের পাসপোর্ট ব্যবহার করেই বারবার গা ঢাকা দেয় বলে সিবিআই সূত্রে খবর। তার ভাই বিকাশ মিশ্রকে গ্রেপ্তার করেছে সিবিআই।