শীতের সকালে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে কলকাতায় শুরু হয়েছে পুরসভা নির্বাচন। সকাল থেকে বুথে বুথে চলছে ভোটগ্রহণ। সেই সঙ্গে নানা প্রান্ত থেকে ভেসে আসছে অশান্তির খবরও।
কোথাও বোমাবাজি, কোথাও ছাপ্পা, কোথাও আবার ভোট লুঠের অভিযোগ করছে বিরোধীরা। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অভিযোগের তির রয়েছে শাসকদলের দিকে। কলকাতা পুরভোটে বেনিয়মের অভিযোগে সরব বিজেপি।
রবিবার দুপুর ১ থেকে রাজ্যের সর্বত্র বিজেপির বিক্ষোভ কর্মসূচি। বিজেপির অভিযোগ, ‘ভোটের নামে প্রহসন তৃণমূল, পুলিশ ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের।’ বেনিয়ম হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিল বিজেপি।
গতকাল রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ৩ ঘণ্টা দেখব। ভোট লুঠ হলে ঘেরাও করব রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ভোট লুঠ হলে সিটকে দিয়ে তদন্ত করাতে বলব। আর ঠিক সেই মতো এদিন অভিযোগ তুলে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বিক্ষোভ দেখানো শুরু করে বিজেপি।
এদিন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, এগিয়ে বাংলার রেকর্ডকে বজায় রেখে সকাল থেকে শুরু হয়েছে। ২২ নম্বরের প্রার্থী মীনাদেবী পুরোহিতকে হেনস্থা করা হয়েছে। ভাল ভোট চলছে এই সব ঘটনা প্রমাণ করছে। মুখ্যমন্ত্রী এবং তাঁর দল নিশ্চয়ই খুশি হবেন।
অলিখিতভাবে পুলিশকর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, দুপুর ১২ টার মধ্যে ক্লিয়ার করতে হবে। ছাপ্পা ভোট বা সব শেষ করে ফেলতে হবে। কোথাও দফায় দফায় উত্তেজনা। কোথাও সিসিটিভি ক্যামেরা না থাকার অভিযোগ। কোথাও আবার বুথের মধ্যেই কংগ্রেস এজেন্ট মারধরের অভিযোগ। অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোটের দাবিতে থানায় বিক্ষোভ।
উত্তর থেকে দক্ষিণ দুপুর এমনই ছবি কলকাতা পুরভোটের। বুথ দখল ও বাম এজেন্টদের বসতে না দেওয়ার অভিযোগে পথ অবরোধ। মৃত ভোটারদের নামে ভোট দেওয়ার অভিযোগ নির্দল প্রার্থীর।
জোড়াবাগান এলাকায় কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র ও ২২ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী মীনাদেবী পুরোহিতকে হেনস্থা, পোশাক ছিঁড়ে দেওয়ার অভিযোগ তৃণমুলের বিরুদ্ধে। নির্দল প্রার্থীদের মেরে মুখ ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ।
অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূল প্রার্থী শ্যামপ্রকাশ পুরোহিতের। অবজার্ভারকে খতিয়ে দেখার নির্দেশ কমিশনের। এরপর পোস্তার একটি বুথে বিজেপি প্রার্থীকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল ও নির্দল প্রার্থীর এজেন্টরা।