মুকুল রায়ের গাড়িতে তল্লাশি,অভিসন্ধির অভিযােগ বিজেপির

মুকুল রায়(ছবি-ফেসবুক)

এর আগে প্রাক্তন আইপিএস তথা  বিজেপি নেত্রী ভারতী ঘােষের গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ১ লক্ষ ১৩ হাজার টাকা উদ্ধার করেছিল পুলিশ আর এই বাজেয়াপ্ত ঢাকা নির্বাচনে ভােট কেনার জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে তৃণমুলের অভিযােগ।এ নিয়ে রাজ্য রাজনীতি যখন সরগরম,তখন ফের একবার বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের গাড়িতে তল্লাশিকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য দেখা দিল।বিজেপির অভিযােগ , রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে বিজেপি নেতৃত্বকে হেনস্থা করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে রাজ্য প্রশাসন।সে কারণে বেছে বেছে বিজেপি নেতাদের গাড়িতেই তল্লাশি চালানাে হচ্ছে।যদিও তল্লাশির বিষয়টি পুলিশের রুটিন অভিযানের মধ্যে পড়ে বলে দাবি প্রশাসনের।

বিজেপি সূত্রে খবর , দিল্লির ভােটার মুকুল রায় রবিবার ভােট দিয়ে কলকাতা বিমানবন্দরে নামেন। বিমানবন্দর থেকে বেরােতেই তাঁর গাড়ি আটক করে পুলিশ।তন্ন তন্ন করে তল্লাশি করা হয় তাঁর গাড়িতে। কিন্তু অবৈধ কিছুই উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।এরপর গাড়িটি ছেড়ে দেওয়া হলেও এয়ারপাের্ট সংলগ্ন কৈখালি মােড়ের কাছে পৌঁছতেই ফের এক দফা তাঁর গাড়ি আটক করা হয়।এই সময় মুকুলবাবু জানান, এর আগেও তাঁর গাড়ি আটক করে তল্লাশি চালানাে হয়েছে এবং তাঁর সিজার লিস্টও রয়েছে তাঁর কাছে। কিন্তু সে কথায় কর্ণপাত না করে পুনরায় তাঁর গাড়ি আটক করে তল্লাশি চালানাে হয়।

যদিও দ্বিতীয়বার তার গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে কেবল বিস্কুট উদ্ধার হয়েছে বলে জানা যায় । এদিকে মুকুলের গাড়িতে তল্লাশির সময় এক ব্যক্তিকে মােবাইলে ছবি তুলতে দেখা যায়। বিজেপি কর্মীরা ওই ব্যক্তির পরিচয় জানতে চাইলে সিভিক ভলান্টিয়ার বলে পরিচয় দেন ওই ব্যক্তি।একজন সিভিক ভলান্টিয়ার কেন এই ঘটনার ছবি তুলতে এত তৎপর , তা নিয়ে প্রশ্ন তােলা হয়েছে বিজেপির তরফে।


অন্যদিকে এই তল্লাশিতে রাজনৈতিক অভিসন্ধি দেখতে পাচ্ছে পদ্ম শিবির। তাঁদের মতে,রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে বিরোধী নেতৃত্বকে দমাতে রাজ্যের শাসক দল ‘ইচ্ছাকৃতভাবে’ পুলিশকে দিয়ে এই কাণ্ড ঘটাচ্ছে।যদিও প্রশাসনের দাবি,রুটিন তল্লাশি চলার সময় মুকুল রায়ের গাড়ি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হওয়ায় তল্লাশি চালানাে হয়।এর মধ্যে অন্য উদ্দেশ্য খোঁজা যুক্তিযুক্ত নয়।তাছাড়া শনি ও রবিবার দুদিনই লেকটাউন ও নিউটাউনে নাকা তল্লাশিতে প্রায় ১লক্ষ টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ।যদিও পুলিশের এই দাবিকে মানতে নারাজ বিজেপি। মুকুলের বক্তব্য , এয়ারপাের্ট থেকে তৃণমূলের নেতা গাড়িতে করে টাকা নিয়ে গেলেও পুলিশ আটকায় না,অথচ বিজেপি নেতাদের গাড়ি আটকানাে হচ্ছে। এতেই পষ্ট হয়ে যাচ্ছে প্রশাসনের অভিসন্ধি।