চেন্নাইয়ে কাজের জন্য গিয়েছিলেন বাঙালি যুবক। কিন্তু কাজের জন্য গিয়ে শিকার হলেন অনাহারের। চেন্নাই রেল স্টেশনেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন তিনি। মৃত যুবকের নাম সমর খান। তিরিশের আশেপাশে তাঁর বয়েস।
সমরের সঙ্গে বাংলা থেকে চেন্নাইতে কাজের সন্ধানে পারি দিয়েছিলেন আরও ১২ জন শ্রমিক। যার মধ্যে ৬ জন খেতে না পেয়ে অনাহারে হয়ে পড়ে অসুস্থ। এক পরিযায়ী শ্রমিককে ইতিমধ্যেই ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। বাকি ১০ জনকে উদ্ধার করে চেন্নাই কর্পোরেশন রেখেছেন তাদের নিজেদের হোমে।
বাংলা থেকে কিভাবে চেন্নাইতে কাজের সন্ধানে পৌঁছলেন তারা? তিনশো টাকার মজুরির কাজের প্রলোভন দেখিয়ে গত সপ্তাহে এক দালালের হাত ধরে চেন্নাইতে পৌঁছন তারা। চেন্নাই স্টেশন পৌঁছনোর পড়ই গা ঢাকা দেন ওই দালাল। এমনকী পরিযায়ী শ্রমিকদের কাছে যেই টাকা পয়সা ছিল তাও আগেভাগেই হাতিয়ে নেন দালাল।
১২ জন পরিযায়ী শ্রমিক আশ্রয় নিয়েছিলেন চেন্নাই স্টেশনেই।রয়েছে ভাষাগত সমস্যা যার দরুন কারুর সঙ্গে কোন কথপোকথনে যেতে পারেননি তারা। স্টেশনেই এক কোণে আশ্রয় নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন কাজের।
অনাহারে সোমবার থেকে অসুস্থ হতে শুরু করেন তারা। মৃত্যুর মুখ থেকে একজনকে উদ্ধর করে চেন্নাই পুলিশ ইতিমধ্যেই রাজীব গান্ধী মেমোরিয়াল হাসপাতালে করা হয় ভর্তি।
জানা যাচ্ছে তারা অনেক ভাবে চেষ্টা করেছিল টিকিট কেটে ট্রেনে চেপে ফিরবেন রাজ্যে। কিন্তু জালিয়াতির শিকার হন তারা, যার দরুন তাদের কাছে ছিলনা ক্ষমতা খাবার কিনে খাওয়ার এমনকি রাজ্যে ফেরার ক্ষমতা।
টাকা না থাকা সত্ত্বেও নিজেদের সততার পরিচয় দিয়ে তারা ওঠেননি ট্রেনে। আর তাদের এই সততার প্রশংসা করেছেন চেন্নাই কর্পোরেশনের অ্যাসিস্ট্যান্ট হেলথ অফিসার বাসুদেবন। আপাতত স্থিতিশীল অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি শ্রমিকেরা। চেন্নাই কর্পোরেশনের অ্যাসিস্ট্যান্ট হেলথ অফিসার বাসুদেবন তিনি জানিয়েছেন, চেন্নাই লাগবো তিরুভাল্লুর জেলার পন্নেরিতে এই শ্রমিকদের দেওয়া হবে চাষের কাজ।