• facebook
  • twitter
Tuesday, 1 April, 2025

স্বচ্ছ রেশন-ব্যবস্থায় এগিয়ে বাংলা, প্রশংসিত খাদ্য দপ্তর

রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের পর এবার খাদ্য দপ্তরও প্রশংসিত দেশের দরবারে। স্বচ্ছ রেশন ব্যবস্থাপনায় বিজেপিশাসিত রাজ্যের তুলনায় এগিয়ে বাংলা।

ফাইল চিত্র

রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের পর এবার খাদ্য দপ্তরও প্রশংসিত দেশের দরবারে। স্বচ্ছ রেশন ব্যবস্থাপনায় বিজেপিশাসিত রাজ্যের তুলনায় এগিয়ে বাংলা, এমনটাই বলছে কেন্দ্রের তথ্য পরিসংখ্যান। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় খাদ্যমন্ত্রক প্রকাশিত রেশন ব্যবস্থায় রাজ্যগুলির স্বচ্ছতা শীর্ষক রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, দেশের অধিকাংশ রাজ্যের তুলনায় স্বচ্ছ রেশন ব্যবস্থা রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলাতেই। ডাহা ‘ফেল’ বিজেপির ‘ডবল ইঞ্জিন’ রাজ্যগুলি, সেই তালিকায় রয়েছে মোদি-যোগীদের রাজ্যও অর্থাৎ গুজরাট থেকে উত্তরপ্রদেশ।

রেশন ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনতে একাধিক নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্র। সেই তালিকায় রয়েছে, গ্রাহকের ই-কেওয়াইসি ও আধারের বায়োমেট্রিক যাচাই, রেশন দোকানের ই-পস যন্ত্রের সঙ্গে ইলেকট্রনিক ওজনযন্ত্রের সংযুক্তিকরণ। সেই মানদণ্ডের ভিত্তিতেই বাংলা এগিয়ে। কেন্দ্রের রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলার ৯৩% রেশন গ্রাহকের ই-কেওয়াইসি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। বিজেপিশাসিত উত্তরপ্রদেশে ৭৩.২%, গুজরাতে ৭২.৯% এবং হরিয়ানায় ৪৬.৩%, মহারাষ্ট্রে ৩৪% সম্পন্ন হয়েছে। ৩৬টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে ১৫টিতে ৮০% বেশি ই-কেওয়াইসি হয়েছে। কেন্দ্রের তথ্য পরিসংখ্যানই বলছে, খাদ্যবন্টনে যুগান্তকারী এবং ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে খাদ্যদপ্তরে গতি আনতে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়েছেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ।

উল্লেখ্য, মানুষের সুবিদার্থে সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে রেশন ব্যবস্থায় সেলফ সার্ভিস পোর্টাল চালু করেছেন খাদ্যমন্ত্রী। এখানেই শেষ নয়, মন্ত্রীর ভাষায়, ‘ই-পস মেশিনে কেবল আঙুলের ছাপই নয়, চোখের মণি স্ক্যান করা অথবা ওটিপি-র ব্যবস্থাও রয়েছে। সুতরাং, মানুষ কোনোভাবেই নিজের অধিকার অর্থাৎ রেশন থেকে বঞ্চিত হবেন না। আপনার অধিকার আপনার হাতে তুলে দেওয়ার দায়িত্ব আমাদের।’ রাজ্য খাদ্য দপ্তর যে গোটা ভারতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে এবং দেশকে পথ দেখাবে সেই ভবিষ্যৎ বাণী আগেই করেছিলেন মন্ত্রী। এবার যেন তা মিলে গেল অক্ষরে অক্ষরে।

রথীনের মতে, ‘এটি এমন এক বিশেষ দপ্তর যার মাধ্যমে মানুষের সঙ্গে সরাসরি জনসংযোগ করা এবং মানুষের অভাব, অভিযোগ, চাহিদা বোঝা সম্ভব। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগ, খাদ্যসাথী এবং সর্বোপরি খাদ্য দপ্তরের স্বচ্ছতার ফলে পাহাড় থেকে সমতলের প্রত্যেক মানুষের কাছে আজ সহজেই রেশন সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে।’ কেন্দ্রীয় তথ্য বলছে, আধার বায়োমেট্রিক যাচাই ব্যবস্থার মাধ্যমে বাংলার ৯৯%-র বেশি গ্রাহক রেশন পান। বিজেপিশাসিত অরুণাচলে বায়োমেট্রিক যাচাই হয় মাত্র ১০% এবং মণিপুরে রেশন বণ্টনে আধার যাচাই হয় না! রেশন গ্রাহকদের সঠিক ওজনের খাদ্যসামগ্রী দিতে ই-পস মেশিনের সঙ্গে ইলেকট্রনিক ওজনযন্ত্র যুক্ত করা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ-সহ মাত্র সাতটি রাজ্যে। গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ, হরিয়ানা-সহ বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলিতে এই ব্যবস্থা চালুই হয়নি! দাবি কেন্দ্রীয় তথ্যেই।