সম্প্রতি বাংলার ৬টি উপনির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছে বিজেপির। মাদারিহাট আসনটিও হাতছাড়া হয়েছে গেরুয়া শিবিরের। বঙ্গ বিজেপির এই পারফরম্যান্সে রীতিমত হতাশ কেন্দ্রীয় নেতৃত্ত্ব। এবার সংগঠনের কাজ ও সদস্য সংগ্রহে ব্যর্থতার জন্য দলের বিধায়কদের কাঠগড়ায় তুললেন বঙ্গ বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকরা। শনিবার সল্টলেকের পার্টি অফিসে দলীয় বৈঠকে সাংসদদের কাজে গভীর অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক সুনীল বনসল থেকে মঙ্গল পাণ্ডেরা।
বঙ্গ বিজেপির সদস্য সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ কোটি। নির্দিষ্ট সময়ে কাজটা হয়নি বলে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সময় বাড়িয়ে ডিসেম্বরের ১৫ তারিখ পর্যন্ত সময় দিয়েছেন। কিন্তু নভেম্বর মাস পেরিয়ে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে রাজ্য বিজেপির সদস্য হয়েছেন মাত্র ২০ লাখ। যদিও বঙ্গ বিজেপির দাবি, সংগৃহীত সদস্য ২৫ লাখের ঘরে পৌঁছেছে। কিন্তু কোথায় ১ কোটি আর কোথায় ২৫ লাখ! সদস্য সংগ্রহের কাজে এই ব্যর্থতা আর গাফিলতি নিয়ে শনিবার কলকাতায় দলীয় বৈঠকে রাজ্য নেতাদের তুলোধোনা করলেন বঙ্গ বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক সুনীল বনসল। আর সদস্য সংগ্রহের কাজে দলের বিধায়কদের কাজ নিয়ে দলীয় বৈঠকে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষরা।
রাজ্যে দলের নেতারা সিংহভাগ হয় ছবি তুলতে ব্যস্ত, না হলে বড় বড় কথা বলছেন, অথচ সদস্য সংগ্রহের কাজে তাঁরা চুড়ান্ত ব্যর্থ বলে তোপ দেগেছেন কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকরা। এদিন বৈঠকে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকদের নিশানায় মূলত ছিলেন বিধায়করা। সদস্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে সাংসদদেরও আরও সক্রিয়ভাবে মাঠে নামা উচিত ছিল বলেও কেন্দ্রীয় নেতারা বৈঠকে বলেছেন।
বিজেপি সূত্রে খবর, তাই বিধায়কদের আরও সক্রিয়ভাবে মাঠে নামাতে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর উপর ভরসা রাখতে চাইছেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। শুভেন্দুর নেতৃত্বে বঙ্গ বিজেপির বিধায়কদের নিয়ে আলাদা করে বৈঠকে বসার সিদ্ধান্তের কথাও এদিন বলেছেন দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।