আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি বিধাননগরের পুরভোট। আর তার আগেই সল্টলেকে বিজেপির মিছিলকে ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। সোমবার ইজেডসিসি থেকে বিধাননগর কমিশনারেট পর্যন্ত মিছিলের ডাক দেয় বিজেপি।
মূলত এদিন এই মিছিলের মাধ্যমে শুভেন্দু অধিকারী রাজ্য নির্বাচন কমিশনার তৃণমূলের দলদাসে পরিণত হয়েছে।
রাজ্য নির্বাচন কমিশন তৃণমূলের শাখা সংগঠনে পরিণত হয়েছে। বিজেপির পার্টি অফিস ভেঙেছে। তিনজনকে আমরা চিহ্নিত করেছি। তাদের আমরা ধরব।
এছাড়াও তিনি আরও বলেন, করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে আমরা আগে থেকেই হাজারের বেশি কর্মীদের মিছিলে আসতে বারন করে দিয়েছি। কিন্তু এসে দেখলাম পুলিশ পুরো বিধাননগরকে নিজেদের দুর্গ বানিয়ে ফেলেছে।
পাশাপাশি জলকামান ও কাঁদানে গ্যাস সঙ্গে রেখে যুদ্ধের মতো পরিস্থিতি তৈরি করেছে। এছাড়াও পুলিশকে তোপ দেগে উর্দি খুলে শাসকদলের ঝাণ্ডা ধরার কথা বলেন তিনি।
উল্লেখ্য, বিগত কয়েকদিন ধরেই গেরুয়া শিবিরের তরফ থেকে অভিযোগ উঠে আসছিল বিধাননগর পুরনিগমের মোট ৪১টি ওয়ার্ডে আসন্ন নির্বাচনে তাঁদের প্রার্থী ঘোষণার পর থেকেই রীতিমতো তাদের কর্মীদের উপর হামলা চালাচ্ছে রাজ্যের শাসকদল। সেকারনেই সোমবার কমিশনারেট অভিযানের ডাক দেয় গেরুয়া শিবির।
কিন্তু মিছিল শুরু হওয়ার কিছু পরেই বিধাননগর পুলিশ ব্যারিকেড করে তা আটকে দেয়। এরপরই রাস্তায় বসে পড়েন শুভেন্দু অধিকারী। বসে পড়েন দলের বাকি নেতা কর্মীরাও।
এই অবস্থান থেকেই শুভেন্দু অধিকারী বলেন, কিছুক্ষণ এখানে প্রতিবাদ হবে। এরপর জেলায় জেলায় বিক্ষোভের ডাক দেওয়া হবে।