• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

দিল্লি যাওয়ার আগে দমদম বিমানবন্দরে বিজেপিকে তুলোধোনা মমতার, মানবাধিকার কমিশনকেও দুষলেন

চারদিনের সফরে দিল্লি রওনা দেওয়ার আগে দমদম বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে ত্রিপুরা ইস্যু নিয়ে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Photo: SNS)

চারদিনের সফরে দিল্লি রওনা দেওয়ার আগে দমদম বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে ত্রিপুরা ইস্যু নিয়ে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের যুব সভাপতি সায়নী ঘোষের গ্রেফতারির নিন্দা করলেন।

বললেন, বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির গণতন্ত্রের কঙ্কাল বেরিয়ে পড়েছে। অত্যাচার চলছে। একইসঙ্গে তিনি মানবাধিকার কমিশনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।

চলতি মাসের শেষেই ত্রিপুরায় পুর-ভোট। তার আগেই ত্রিপুরায় তৃণমূল নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা এবং গ্রেফতারির বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর নজরে আনবেন বলে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এদিন দমদম বিমানবন্দরে মমতা অভিযোগ করেন, ত্রিপুরায় বারবার আক্রান্ত হচ্ছে তৃণমূল। সায়নীর মতো শিল্পীকেও ছাড়ল না। থানাতেও হামলা চালিয়েছে। ত্রিপুরার পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ। সেই রাজ্যের বিজেপি সরকার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মানছে না।

সুপ্রিম কোর্ট মিটিং মিছিল করার ক্ষেত্রে কোনও বাধা না দিলেও ত্রিপুরা তা মানছে না। মমতা এদিন প্রশ্ন করলেন, এখন জাতীয় মানবাধিকার কমিশন কোথায়?

আমাদের এখানে কয়েকজন দুষ্কৃতি কিছু করেছিল। সবাই মাঠে নেমে পড়েছিল। এখন তাদের দেখা যাচ্ছে না। দিল্লি সফরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের সময়ে বিএসএফ-এর ক্ষমতাবৃদ্ধি নিয়ে সরব হবেন বলে জানালেন মমতা।

বিএসএফ-এর নজরদারির সীমানা ১৫ কিলোমিটার থেকে বাড়িয়ে ৫০ কিলোমিটার করায় রাজ্যের ১১ টি সদর জেলা বিএসএফ-এর নিয়ন্ত্রণের আওতায় চলে যাচ্ছে। যাকে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ওপর হস্তক্ষেপ এবং যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর ওপর আঘাত বলে মনে করছেন রাজ্য সরকার।

বিএসএফ-এর নজরদারির এক্তিয়ারবৃদ্ধির প্রতিবাদে আগেই প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিলেন মমতা। আগামী বুধবার প্রধানমন্ত্রীর মুখোমুখি হয়ে এই বিষয়টি নিয়ে সরাসরি কথা বলবেন মুখ্যমন্ত্রী।

বিএসএফ এর ক্ষমতাবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়ে সরাসরি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন মমতা। তিনি বলেন, বিএসএফ আমাদের বন্ধু। কিন্তু বিএসএফ এর ক্ষমতাবৃদ্ধি মেনে নেওয়া যায় না। বিএসএফ এখন বিজেপি সেফ হয়ে যাচ্ছে।

নবান্ন সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রীর এই সফরে রাজ্যে উন্নয়ন প্রকল্পগুলির গতি মসৃণ রাখতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে বকেয়া মেটানোর আর্জি জানাতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এর আগেও প্রধানমন্ত্রীর কাছে রাজ্যের আর্থিক দাবি-দাওয়া নিয়ে দরবার করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বর্তমানে রাজ্যের লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে মা ভবানী দশা। সরকারি কোষাগারের দশা এমন বেহাল আগে হয়নি।

নির্বাচনের আগে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে হিমশিম অবস্থা রাজ্যের কোষাগারের। শুধু লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পেই এক লাফে আঠেরো হাজার কোটি টাকার বোঝা চেপেছে নবান্নের ঘাড়ে।

রাজ্যের ঘাড়ে ঋণের বোঝা প্রায় পাঁচ লক্ষ কোটি টাকা ছাপিয়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় প্রধানমন্ত্রীকে বুঝিয়ে কেন্দ্রের কাছ থেকে বকেয়া পাওনা আদায় করাই মূল লক্ষ্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।