• facebook
  • twitter
Thursday, 26 December, 2024

সদস্য সংগ্রহে পুরস্কারের টোপ, বিতর্কে বিজেপি বিধায়ক

সদস্য সংগ্রহে আর্থিক পুরস্কার ঘোষণা করে বিতর্কে জড়ালেন বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানা। বিধায়ক নিজের ফেসবুক পোস্টে পুরস্কারের কথা ঘোষণা করেছেন।

প্রতীকী চিত্র

উপনির্বাচনে ভরাডুবির পর সদস্য সংগ্রহ অভিযানকে কেন্দ্র করে ঘুরে দাঁড়িতে চেয়েছিল বঙ্গ বিজেপি। গোটা দেশের পাশাপাশি রাজ্যেও তাই ঢাকঢোল পিটিয়ে শুরু হয় সদস্য সংগ্রহ অভিযান কর্মসূচি। কিন্তু কয়েক মাসের চেষ্টাতেও টার্গেট পূরণে ব্যর্থ রাজ্য বিজেপি। জেলায় জেলায় সদস্য সংগ্রহের যে টার্গেট দেওয়া হয়েছিল, তার ধারেকাছেও পৌঁছতে পারেনি বিজেপি। সদস্য সংগ্রহের পরীক্ষায় ডাহা ফেল করেছেন বিজেপি নেতারা। আর তাই এবার সদস্য সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্র পূরণে রীতিমতো পুরস্কারের টোপ দেওয়া হল।

সদস্য সংগ্রহে আর্থিক পুরস্কার ঘোষণা করে বিতর্কে জড়ালেন বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানা। বিধায়ক নিজের ফেসবুক পোস্টে পুরস্কারের কথা ঘোষণা করেছেন। গোটা বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই যথেষ্ঠ অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছে দলীয় নেতৃত্ব। এই নিয়ে তৃণমূলের কটাক্ষের মুখেও পড়তে হয়েছে তাদের। দেশজুড়ে সদস্য সংগ্রহ অভিযানের অঙ্গ হিসেবে বিধায়ক থেকে সাংসদ, দলের উঁচুতলা থেকে নীচু তলা সর্বস্তরে নির্দিষ্ট সংখ্যায় সদস্য সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করেছে দল।

সূত্রের খবর, বাঁকুড়া বিধানসভায় যে সংখ্যক সদস্য সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে, তা এখনও ছুঁতে পারেনি বিজেপি নেতৃত্ব। আর সেই কারণেই চিন্তায় ঘুম উড়েছে নেতাদের একাংশের। কারণ সদস্য সংগ্রহে লক্ষ্যমাত্রা ছুঁতে ব্যর্থ হলে একদিকে যেমন রাজ্য নেতৃত্বের থেকে ‘ধমক’ জুটবে, ঠিক তেমনই ছেড়ে কথা বলবে না দলের হাইকমান্ডও। তাই যেনতেন প্রকারে টার্গেট পূরণে মরিয়া গেরুয়া শিবিরের বড়-মেজ-সেজ নেতারা। ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্দিষ্ট সেই লক্ষ্যমাত্রা ছুঁতে বিভিন্ন কৌশল নিয়েছেন বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানা।

ফেসবুক পোস্টে তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, বিধানসভার প্রত্যেক পদাধিকারী, শক্তি কেন্দ্র প্রমূখ ও সদস্যদের প্রত্যেককে ১০০টি করে সদস্য সংগ্রহ করতে হবে। লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ব্যর্থ হলে পদ হারাতেও হতে পারে তাঁদের। একই সঙ্গে ওই পোস্টে তিনি, মোদী জ্যাকেট, আর্থিক পুরস্কারের প্রলোভনও দেখিয়েছেন। পোস্টে তিনি লিখেছেন, ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে যে নেতারা ১৫০ জন সদস্য সংগ্রহ করবেন, তাঁদের একটি করে মোদী জ্যাকেট এবং যে বুথ সভাপতিরা ৭৫টি করে সদস্য সংগ্রহ করবেন, তাঁদের প্রত্যেককে ১০০ টাকা করে দেওয়া হবে।

এদিকে এই পুরস্কারের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বিধায়কের দাবি, দলের কর্মীদের উৎসাহ দিতেই ওই পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। বিধায়কের এই ঘোষণায় বিড়ম্বনায় পড়েছে দলের জেলা নেতৃত্বও। বিজেপির জেলা সভাপতি বলেন, বেশি সংখ্যায় সদস্য সংগ্রহ করলে উত্তরীয় দিয়ে তাঁকে সম্মান জানানোর কথা বলা হয়েছে। আর্থিক পুরস্কারের কোনও প্রশ্ন নেই। তৃণমূলের দাবি, সাধারণ মানুষ আসলে বিজেপি সদস্যপদ নিতে চায় না। তাই বাধ্য হয়ে বিজেপি বিধায়ককে আর্থিক পুরস্কারের প্রলোভন দেখাতে হচ্ছে।