সাতসকালে কলকাতায় ইডির হানা। মঙ্গলবার হাওড়া, হুগলি, কলকাতা-সহ রাজ্যের নানা প্রান্তে অভিযান চালায় তল্লাশি চালায় ইডির একাধিক তদন্তকারী দল। সূত্রের খবর, ব্যাঙ্ক-প্রতারণা মামলার তদন্তেই কলকাতায় হানা দেয় ইডি। এত টাকা কোথায় গিয়েছে, আর কারা জড়িত, কীভাবে প্রতারণা করা হয়েছে সবটাই জানার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে।
২০২২ সালে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার তরফে ৩ হাজার ২৮০ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ দায়ের হয়। সেই মামলার তদন্তভার হাতে পায় সিবিআই। ওই মামলার সূত্রেই মঙ্গলবার সকালে কনকাস্ট স্টিলের কর্ণধার ব্যবসায়ী সঞ্জয় সুরেকার বালিগঞ্জের ম্যান্ডেভিলা গার্ডেনের বাড়িতে হানা দেনইডির আধিকারিকরা। ব্যবসায়ী সঞ্জয় গুপ্তর দমদম ক্যান্টনমেন্ট এলাকার ফ্ল্যাটেও চলে ইডির তল্লাশি।
ঝাড়খণ্ডের একটি ব্যাঙ্ক প্রতারণা মামলায় প্রায় ৬০০ কোটি টাকা তছরুপের ঘটনা ঘটেছিল বলে প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই ব্যবসায়ী সঞ্জয় গুপ্তর বাড়িতে হানা দিয়েছে তদন্তকারীরা।
হুগলির বৈদ্যবাটি চ্যাটার্জি পাড়ায় একটি বাড়িতে হানা দেয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের নিয়ে দুটি গাড়িতে করে চারজন ইডি আধিকারিক ওই বাড়িতে পৌঁছন। ওই বাড়ির মালিক কলকাতার ধর্মতলায় লোহার যন্ত্রাংশ সরবরাহকারী একটি প্রাইভেট ফার্মে চাকরি করেন। এর আগেও তাঁর বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চলেছিল।
বেলুড়ের ভোটবাগান এলাকাতেও ৪০ নম্বর জালিগেট পাড়ায় ইশান প্লাস্টিক নামের একটি কারখানাতেও একইভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে তল্লাশি চালায় ইডি অফিসাররা। কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপে হাওড়ার ঘুসুড়ির আবাসনেও চলে ইডির অভিযান। এর পাশাপাশি নিউ আলিপুর ও গড়িয়াহাট এলাকায় তল্লাশি চালান এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা।