বন্ধ বালি ব্রিজ, চরম দুর্ভোগের মুখে যাত্রীরা

রেলের তরফে বহু আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল, তা সত্ত্বেও এড়ানো গেল না দুর্ভোগ। বালি ব্রিজ বন্ধের জেরে চরম দুর্ভোগের মুখে পড়লেন যাত্রীরা। বাস-ট্রেন ধরতে কয়েক কিলোমিটার পথ হাঁটতে হচ্ছে যাত্রীদের। আবার কেউ যানবাহন ধরার তাগিদে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে কাঁটাতার পেরোচ্ছেন।

রেল সূত্রে খবর, বালিঘাট এবং বালি হল্ট স্টেশনের মাঝে ৯৫ বছরের প্রাচীন বালি ব্রিজের মেরামতির জন্য যানচলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। সেতুর উপর সম্পূর্ণ পাওয়ার ব্লক করে কাজ চলছে। সেই কারণে টানা ১০০ ঘণ্টা ওই লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে। ২২ জানুয়ারি রাত ১২টায় কাজ শুরু হয়েছে। ২৭ জানুয়ারি ভোর ৪টে পর্যন্ত শিয়ালদহ-ডানকুনি শাখায় কোনও ট্রেন চলাচল করবে না। ২২ জোড়া ডানকুনি লোকাল ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। লোকাল ট্রেনই নয়, বেশ কয়েকটি এক্সপ্রেসও বাতিল রয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাস্তায় বেরিয়ে চরম ভোগান্তির মুখে পড়েন নিত্যযাত্রীরা। অনেকটা ঘুরপথে রাজচন্দ্রপুর পর্যন্ত যেতে হচ্ছিল অফিসযাত্রীদের। তাড়া থাকায় কেউ কেউ ঝুঁকি নিয়ে রেলিং পেরিয়ে যাতায়াত করছিলেন। এনিয়ে পুলিশের সঙ্গে তর্কাতর্কিতেও জড়ান নিত্যযাত্রীরা। অবশেষে বালি হল্ট স্টেশনের পাশের কংক্রিটের পাঁচিল ভেঙে বিকল্প রাস্তা তৈরি করে দেওয়া হয়।


বালি ব্রিজ, অর্থাৎ বিবেকানন্দ সেতুর এক দিকের লেন বন্ধ রয়েছে। দক্ষিণেশ্বর থেকে বালিগামী ভারী গাড়িগুলিকে পাশের নিবেদিতা সেতু দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বাসের ক্ষেত্রে টোল ট্যাক্সও মকুব করা হয়েছে। বালি খাল থেকে দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত যাওয়ার লেনটি দিয়ে শুধুমাত্র বাইক এবং তিন চাকার গাড়ি চলছে। সাধারণ মানুষের সুবিধার জন্য সকাল ৬ টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত বাইক এবং তিন চাকার গাড়িতে ছাড় দেওয়া হচ্ছে।

এক যাত্রীর কথায়, প্রায় ৪০ মিনিট ধরে হাঁটতি। কোনও গাড়ি নেই। টোল ট্যাক্স পর্যন্ত বাস মিলতে পারে বলে জানাচ্ছেন অনেকে। জানি না কবে সমস্যা মিটবে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ডানকুনি স্টেশনে যাত্রী ভোগান্তির দৃশ্য চোখে পড়ে। রেলের যাত্রীরা অভিযোগ করেছেন, সকাল থেকে রেলের তরফে কোনও ঘোষণাও হয়নি।

ট্রেন বন্ধ থাকার বিষয়টি রেলের তরফে আগাম নোটিস দিয়ে জানানো হয়েছিল। কিন্তু নিত্যযাত্রীদের বক্তব্য, সকলে নোটিসের কথা জানবেন তার কোনও অর্থ নেই। প্ল্যাটফর্মগুলিতে প্রচারের প্রয়োজন ছিল। কিন্তু রেলের তরফে মাইকে প্রচার হয়নি। ফলে অনেকে জানেনই না ট্রেন বন্ধ। পরে পরিস্থিতির কথা জানতে পেরে বিকল্প রাস্তা ধরে গন্তব্যের পথে রওনা দেন যাত্রীরা।