রেশন কেলেঙ্কারিতে অন্যতম অভিযুক্ত বাকিবুর রহমান দুবাই যেতে চাইছেন। জামিনের তিন মাস পরেই এবিষয়ে আবেদন জানিয়েছেন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের অন্যতম ঘনিষ্ঠ এই ব্যবসায়ী। বাকিবুরের এই দুবাই যাত্রা ঠেকাতে মরিয়া ইডি (এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট)।
প্রসঙ্গত দুবাই যেতে চেয়ে বুধবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে আবেদন জানিয়েছেন বাকিবুর। আদালতে তাঁর ব্যাখ্যা, ব্যবসায়িক প্রয়োজনে দুবাই যেতে চান তিনি। শুধু তাই নয়, রাতারাতি ধনী হয়ে যাওয়া বাকিবুরের ছেলেমেয়েরাও বিদেশে থাকেন। সেজন্য সেখানে তাদের সঙ্গে দেখা করতে চান রেশন কাণ্ডে অন্যতম এই অভিযুক্ত। তিনি দাবি করেছেন, সেখানে তাঁর কিছু নথিপত্র রিনিউয়াল করারও প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু জ্যোতিপ্রিয়র অন্যতম ঘনিষ্ঠ বাকিবুরের বিদেশযাত্রা নিয়ে সন্দেহপ্রকাশ করেছে আর্থিক দুর্নীতি সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেজন্য তাঁর দুবাইযাত্রা আটকাতে মরিয়া ইডি। নিজেদের আপত্তির কথা আদালতে লিখিতভাবে জানালেও কী কারণে বাকিবুরের বিদেশযাত্রায় আপত্তি, সেবিষয়ে এখনও কিছু প্রকাশ করেনি ইডি।
তবে ইডি সূত্রের দাবি, যেহেতু এটি আর্থিক দুর্নীতি মামলা এবং রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জড়িত। এই মামলায় রেশনের বিপুল টাকা দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। ঘটনার সঙ্গে দুবাই যোগের কথাও জানতে পেরেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সেজন্য বাকিবুরকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দিলে সমস্যা হতে পারে বলে আদালতে দাবি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, রেশন দুর্নীতি মামলায় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে গ্রেপ্তারের পর তদন্তে বাকিবুরের নাম উঠে আসে। তাঁর বিরুদ্ধে বিপুল আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। চালকল থেকে শুরু করে কেষ্টপুরে ফ্ল্যাট সহ তাঁর হিসাব বহিৰ্ভূত বিপুল সম্পত্তির হদিশ মেলে। সেজন্য গত বছরের ১৩ অক্টোবর বাকিবুরকে গ্রেপ্তার করে ইডি। অবশেষে প্রায় এক বছর পর গত আগস্ট মাসে বিশেষ আদালতে জামিন পান বাকিবুর। তাঁর সঙ্গে জামিন পেয়েছিলেন এই মামলায় আরও এক অভিযুক্ত বিশ্বজিৎ দাস। বিশ্বজিৎ পূর্বেই দুবাই যাত্রার আবেদন জানিয়ে অনুমতি পেয়েছেন। কিন্তু বাকিবুরের ক্ষেত্রে আদালত কী সিদ্ধান্ত নেয়, তা এখনই হলফ করে বলা যাচ্ছে না। কারণ তাঁর সঙ্গে জড়িত আছে রেশন দুর্নীতির একাধিক চাঞ্চল্যকর রহস্য।