কলকাতা, ২৯ জানুয়ারি: প্রায় একই সময়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক। পরীক্ষকদের খাতাও দেখতে হবে প্রায় একই সময়ে। কিন্তু এখনও উপযুক্ত পরিকাঠামোর অভাব। একে শিক্ষক শিক্ষিকা কম, তাতে আবার শিক্ষকদের পরীক্ষার হলে গার্ডের দায়িত্ব নিয়ে অন্য স্কুলে যেতে হবে। তার ওপর এই নতুন নিয়ম। যা নিয়ে তৈরি হয়েছে ব্যাপক চাপানউতোর। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার খাতা একই সময়ে দেখলে মূল্যায়ন কতটা সঠিক হবে তা নিয়ে উঠছে নানা প্রশ্ন।
জানা গিয়েছে, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ চিঠি দিয়ে জানিয়েছে, শিক্ষক–শিক্ষিকাদের মাধ্যমিকের খাতা নিতে হবে ২৫ ফেব্রুয়ারি। আর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার প্রথম পর্বের খাতা ৯ মার্চ এবং শেষ পর্বের খাতা ২২ মার্চ নিতে হবে। অর্থাৎ প্রথম দফায় মাধ্যমিকের খাতা ৮ মার্চ, এবং পরের দফায় সেটা ১৬ মার্চ জমা দিতে হবে। আবার উচ্চমাধ্যমিকের ক্ষেত্রে প্রথম পর্বের খাতা নিতে হবে ৯ মার্চ। সেই খাতা জমা দিতে হবে ১৫ মার্চ। সেই খাতা দেখার জন্য হাতে সময় পাওয়া যাবে মাত্র এক সপ্তাহ। তারপরে দ্বিতীয় দফায় খাতা নিতে হবে ২২ মার্চ। কিন্তু ৮ ও ১৫ মার্চের মধ্যে মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক, দুই পরীক্ষার খাতাই একসঙ্গে দেখতে হবে। যা বেশ কষ্টসাধ্য ব্যাপার। এই নিয়ে স্কুলে স্কুলে শিক্ষকদের মধ্যে অসন্তোষ বাড়ছে।
শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একটা অংশ বলছে, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সমন্বয়ের অভাবেই এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। একজন শিক্ষক একইসঙ্গে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার খাতা কিভাবে দেখবেন? বিষয়টা খুবই চাপের। এভাবে যথাযথ মূল্যায়ন হওয়া সম্ভব নয়।
তবে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ তাদের দায় ঝেড়ে ফেলে দিয়েছে। পর্ষদের বক্তব্য, আমরা কেবল মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষকদের মাধ্যমিকের খাতা দেখতে দিই। অন্যদিকে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, ‘এবার মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা যেহেতু গায়ে গায়ে। এবং দুটো পরীক্ষা ফেব্রুয়ারি মাসেই শেষ করতে হবে। সেজন্য শিক্ষকের অভাবে মাধ্যমিক স্তরে যে শিক্ষকরা উচ্চমাধ্যমিক পড়ান, শুধু তাঁদেরকেই উচ্চ মাধ্যমিকের খাতা দেখতে দেওয়া হচ্ছে। এতে মূল্যায়নে প্রভাব পড়বে না।’