• facebook
  • twitter
Wednesday, 18 December, 2024

পরীক্ষায় পাশ না করেই বিশেষজ্ঞ হিসেবে প্র্যাকটিস, অ্যাসোসিয়েশনের রোষের মুখে আসফাকুল্লা

এই নিয়ে স্বাস্থ্য দপ্তরের কাছে অভিযোগ জানিয়েছে অ্যাসোসিয়েশন।

ডাক্তার আসফাকুল্লা নাইয়া। ফাইল চিত্র।

বিতর্কের মুখে পড়লেন আরজি কর কাণ্ডের বিরুদ্ধে হওয়া আন্দোলনের অন্যতম প্রতিবাদী মুখ, ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্টের অন্যতম সদস্য ড. আসফাকুল্লা নাইয়া। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি পরীক্ষায় পাশ না করেই বেআইনিভাবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পরিচয়ে চুটিয়ে প্র্যাকটিস করছেন। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি তুলেছে ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশন।

অ্যাসোসিয়েশনের শীর্ষ নেতা শ্রীশ চক্রবর্তী জানান, ‘নির্লজ্জ জালিয়াতিটাও কি ফ্রন্টের নেতাদের মধ্যে ছোয়াঁচে?’ সেই সঙ্গে তিনি তাঁর অভিযোগের সপক্ষে হাতেনাতে প্রমাণ দেখিয়ে দেন। হুগলির কিউরেন্টার হেলথকেয়ার নামে একটি বেসরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ২০২২ সালের চিকিৎসক তালিকা পেশ করে তিনি দেখান, আসফাকুল্লার নাম তাতে বর্তমান। তাঁর নামের পাশে বড় বড় করে লেখা ‘এমবিবিএস (ক্যাল), এমএস(ইএনটি)’। অথচ, আসফাকুল্লা ২০২২ সালে তখন স্নাতকোত্তর ট্রেনি হিসেবে আরজি করে অধ্যয়নরত। তিনি কীভাবে তখনই নাক-কান-গলার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হিসেবে প্র্যাকটিস করতে পারেন? এই নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে।

শ্রীশের বক্তব্য, ‘ইএনটি-র প্রথম বর্ষের ট্রেনি কোন আইনে স্পেশালিস্ট লিখে ডাক্তারি শুরু করলেন? ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটি অফ হেলথ সায়েন্সের নিয়ম অনুযায়ী কোনও পিজিটি বেসরকারি নার্সিংহোমে, স্বাস্থ‌্যকেন্দ্রে প্র‌্যাকটিস করতে পারবেন না। এই ঘটনা চূড়ান্ত আইন লঙ্ঘন।’ এই নিয়ে স্বাস্থ্য দপ্তরের কাছে অভিযোগ জানিয়েছে অ্যাসোসিয়েশন। শ্রীশ আরও জানান, ‘ডিগ্রি নিয়ে ডা. আসফাকুল্লা নাইয়া সাধারণ মানুষের সঙ্গে যে নির্লজ্জ জালিয়াতি করেছেন তার জন‌্য অবিলম্বে তাঁর বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করা হোক।’