ইডির নজরে এবার অর্পিতা মুখার্জির ৩ ভুয়ো সংস্থার দায়িত্বে থাকা ক্লাস নাইন ফেল ড্রাইভার কল্যাণ ধর জানাগেছে, তার কাজ ছিল অর্পিতার গাড়ি চালানো এবং নেইল-পার্লারে প্রসাধনী ও টিস্যু পেপার বাক্স নিয়ে যাওয়া।
মাইনে ছিল ১০ হাজার টাকা জানাগেছে, ইচ্ছে এন্টারটেইনমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেড সেন্ট্রি ইঞ্জিনিয়ারিং প্রাইভেট লিমিটেড, সিমবায়োসিস মার্চেন্টস প্রাইভেট লিমিটেড-কর্পোরেট মন্ত্রকের রেজিস্ট্রেশন অনুযায়ী এই তিন কোম্পানিরই ডিরেক্টর অর্পিতা মুখার্জি। আর তাঁর সঙ্গে জয়েন্ট ডিরেক্টর কল্যাণ ধর।
শুধু তাই নয়, রাজডাঙায় ইচ্ছে এন্টারটেইনমেন্টের অফিসের ঠিকানাও তাঁর নামে যে ভবনটি মূলত বিয়েবাড়ি হিসেবে ভাড়া দেওয়া হত।
সূত্রের খবর, ইডি অর্পিতার তিনটি পার্লারের দায়িত্বেও ছিল ওই কল্যাণ ধর।
গ্রেফতারের সময় নিয়ম অনুযায়ী ইডি আধিকারিকরা অর্পিতার কাছে জানতে চান, তিনি কার সঙ্গে যোগাযোগ করতে চান।
তখন অর্পিতা তাঁর ড্রাইভারকে ফোন করেন। কিন্তু ড্রাইভার ফোন ধরেনি। তারপর অর্পিতা তার রাঁধুনিকে ফোন করে গ্রেফতারির কথা জানায়।
জানা গেছে, ওই ড্রাইভার ২০১১ সাল থেকেই অর্পিতার গাড়ি চালাচ্ছেন। সে অর্পিতার এক দুর সম্পর্কের বোনের স্বামী। প্রথমে মাসে ৮ হাজার টাকা, পরে ১০ হাজার টাকা বেতন পেতেন তিনি।
তবে ওই ড্রাইভারের দাবি, তিনি অর্পিতার কোনও সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে জানেন না। তিনিও বেলঘরিয়ার দেওয়ানপাড়ার বাসিন্দা। যেখানে অর্পিতার পৈতৃক বাড়ি রয়েছে।
অর্পিতা তার বেতন বাড়াতে অস্বীকার করায় ২০১৮ সালে চাকরি ছেড়েছিলেন। তখন অর্পিতা তার মাইনে বাড়িয়ে ১৮ হাজার ৯০০ টাকা করে।
জানা গেছে, অর্পিতার টাটা ইন্ডিকা চালানোর পাশাপাশি তাঁর পরিচারিকা ও কুকুরের ট্রেনারের বেতন তার হাত দিয়েই দেওয়া হত।