• facebook
  • twitter
Saturday, 16 November, 2024

রাশিয়ার রাসায়নিক স্প্রে করা হয়েছিল কি না জানতে শারীরিক পরীক্ষা করালেন অর্জুন

এই নিয়ে আদালতে যাওয়ারও হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ।

ফাইল ছবি।

রাজ্যের এজেন্সি তাঁর শরীরে রাশিয়ার কেমিক্যাল ঢুকিয়ে দিয়েছে কি না তা জানতে শনিবার শারীরিক পরীক্ষা করালেন বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিং। শনিবার দুপুরে তিনি বাইপাসের ধারের একটি হাসপাতালে এই পরীক্ষা করালেন। অর্জুন জানিয়েছেন সব অঙ্গপ্রত্যঙ্গের পরীক্ষা করিয়েছিলেন তিনি। মোট ১৪টি টেস্ট করানো হয়েছে। এর জন্য সময় লেগেছে প্রায় আড়াই ঘণ্টা। শারীরিক পরীক্ষা করিয়ে বেরোনোর পর ফের এদিন রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন অর্জুন।
বৃহস্পতিবার টেন্ডার দুর্নীতি মামলায় অর্জুনকে ভবানী ভবনে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিআইডি। সেই দিনই তিনি তাঁর শরীরে রাশিয়ান কেমিক্যাল স্প্রে হওয়ার আশঙ্কার কথা জানিয়েছিলেন। তাঁর অভিযোগ ছিল, তদন্তের নামে ডেকে রাজ্যের এজেন্সি রাসায়নিক স্প্রে করে দেয়। এর জেরে ২–৩ মাসের মধ্যে ওই রাসায়নিকের প্রভাবে মাল্টি অরগ্যান ফেলিওর হয়ে মারা যেতে পারেন যে কেউ। অর্জুনের সঙ্গেও বৃহস্পতিবার এরকম কিছু হতে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন এই বিজেপি নেতা। নিজের পাশাপাশি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর জন্যও চিন্তিত হতে দেখা যায় তাঁকে। তাঁকেও খুনের চক্রান্ত হতে পারে বলে মনে করেন অর্জুন সিং।

এই নিয়ে আদালতে যাওয়ারও হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ। অর্জুনের কথায়, ‘৬ মাসের মধ্যে মাল্টি অরগ্যান ফেলিওর হয়ে আমার মৃত্যু হলে সরকার দায়ী। রাশিয়া থেকে রাসায়নিক এনে খুনের চক্রান্ত চলছে। আমি যে চেয়ারে বসেছিলাম, তার ছবি তুলতে চেয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশ ছবি তুলতে দেয়নি। আদালতকে সেটা জানাব।’ তিনি আরও বলেন, ‘রাশিয়ান কেমিক্যাল ঢুকিয়ে দিয়েছে কি না, দেখা হচ্ছে। আগাম সতর্কতা হিসেবে পরীক্ষাগুলো করালাম। আগামী এক-দু’দিনের মধ্যে রিপোর্ট হাতে পাব।’ অর্জুন জানান, এদিন হাসপাতালে শারীরিক পরীক্ষা করতে গিয়ে তাঁকে বেশি হাঁটাহাটি করতে হয়নি। এক জায়গাতেই সব পরীক্ষার ব্যবস্থা করেছিলেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হৃদযন্ত্র, লিভার, কিডনি সহ বিভিন্ন পরীক্ষা করিয়েছেন তিনি। শরীরে দূষিত কিছু প্রবেশ করানো হয়েছে কি না তা নিয়ে বৃহস্পতিবার থেকে চিন্তায় ছিলেন অর্জুন। একথা জানিয়েছেন তাঁর ঘনিষ্ঠরা। তাই আর ঝুঁকি না নিয়ে শনিবার শারীরিক পরীক্ষা করিয়ে নিলেন তিনি।