মঙ্গলবার দেশের সর্বোচ্চ আদালত পশ্চিমবাংলায় ভােট পরবর্তী হিংসা নিয়ে সিট গঠনে রাজ্যের মতামত জানতে চাইলাে, তাও হলফনামা আকারে জমা দিতে বলা হয়েছে। ভােটের হিংসায় নিহত দুই বিজেপি পরিবারের পক্ষে দায়ের করা এই মামলায় এই নির্দেশিকা দেয় সুপ্রিম কোর্ট।
কলকাতা কাঁকুড়গাছির অভিজিৎ সরকার এবং ক্যানিং এলাকায় হারান অধিকারীর পরিবার এই মামলাটি দাখিল করেছেন সুপ্রিম কোর্টে। যদিও কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্ডালের ডিভিশন বেঞ্চে এই বিষয়ে মামলার শুনানি চলছে।
এদিনও কলকাতা হাইকোর্টে মামলাকারীর আইনজীবী জানিয়েছেন-‘শুধু কলকাতার এন্টালিতেই এলাকাছাড়া ১২৫ জন।’
এদিন কলকাতা হাইকোর্ট রাজ্যের এজির কাছে জানতে চায়-‘ভােট পরবর্তী হিংসা নিয়ে কতগুলি অভিযােগ এসেছে, ইমেলে কি অভিযােগ গ্রহণ চলছে?’ রাজ্যের এজি অবশ্য এদিন কোন উত্তর দেননি। পরবর্তী শুনানিতে তথ্য জানাবেন বলে জানা গেছে।
কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়েছে ‘ভােট পরবর্তী হিংসায় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনবার্সনের দায়িত্ব সরকারের। উল্লেখ্য, একুশে বিধানসভা নির্বাচনে ফলাফল প্রকাশের দিন ২ মে থেকে ৭ মে অবধি রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ১৪ জন রাজনৈতিক হিংসায় প্রাণ হারান। শুধুমাত্র পূর্ব বর্ধমান জেলাতেই নিহতের সংখ্যা ৫ জন মত। কয়েকশাে বাড়ি ভাঙচুর লুটপাট সহ ব্যাপক মারধর চলে বলে অভিযােগ। শুধুমাত্র বিরােধী দলের লােকজন নয় এই হিংসায় শাসক দল তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা ক্ষতিগ্রস্ত হন।
কলকাতা হাইকোর্ট এই ধরনের অভিযোগ পেয়ে পাঁচ সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ গড়ে। তবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শপথ গ্রহণের পর আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে তৎপরতা দেখান বলে হাইকোর্ট পর্যবেক্ষণে জানায়।
কেন্দ্রের তরফে প্রাক্তন ডিজির নেতৃত্বে সিট গঠনের প্রস্তাব খারিজ করে থাকে কলকাতা হাইকোর্ট। আজ সুপ্রিম কোর্ট অনুরুপ মামলায় সিট গঠনে রাজ্যের মতামত হলফনামা আকারে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। এতে রাজ্য সরকার আরও চাপে পড়ে গেল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।