• facebook
  • twitter
Thursday, 10 April, 2025

’২৬–এর নির্বাচন পর্যন্ত বড়ঞার দায়িত্বে অনুব্রত

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত জীবনকৃষ্ণকে ২০২৩ সালের ১৭ এপ্রিল গ্রেপ্তার করেছিল সিবিআই

ফাইল চিত্র

বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতির হাতে এবার তুলে দেওয়া হল মুর্শিদাবাদ জেলার বড়ঞা বিধানসভা এলাকার দায়িত্ব। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন পর্যন্ত এই বিধানসভা কেন্দ্রের দায়িত্ব সামলাবেন কেষ্ট। নির্বাচনের আগে বড়ঞা বিধানসভায় তৃণমূলের সংগঠন আরও মজবুত করতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

২০২১ সালে প্রথম বার বড়ঞা বিধানসভায় জিতেছিল তৃণমূল। এই কেন্দ্র থেকে জিতে বিধানসভায় গিয়েছিলেন জীবনকৃষ্ণ সাহা। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ১৩ মাস কারাবন্দি থাকার পর গত বছরে জামিন পেয়েছেন জীবনকৃষ্ণ। কিন্তু এই সময়ের মধ্যেই বিধানসভা এলাকায় সংগঠন মজবুত করে ফেলেছে বিজেপি। লোকসভা নির্বাচনে সংশ্লিষ্ট বিধানসভা কেন্দ্রে গেরুয়া শিবিরের ফলাফল শাসকদলের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে। বড়ঞা বিধানসভা কেন্দ্র বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্ভূক্ত। গত লোকসভা কেন্দ্রে একাধিক দাপুটে প্রার্থী থাকা সত্ত্বেও বড়ঞা বিধানসভা এলাকা থেকে বিজেপি লিড দিয়েছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই এলাকা থেকে বিজেপি প্রার্থী নির্মলচন্দ্র সাহা ৫৫৮ ভোটে এগিয়ে ছিলেন। ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তাই সংগঠনের উপর জোড় দিতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই কারণে বীরভূমের নেতা কেষ্টকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

গরু পাচার মামলায় সম্প্রতি জেল থেকে মুক্তি পেয়ে সক্রিয় রাজনীতিতে ফিরেছেন অনুব্রত মণ্ডল। এরই মধ্যে তাঁকে বড়ঞা বিধানসভা এলাকার দায়িত্ব দেওয়ার ঘটনা তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। তৃণমূলের একটি সূত্রের দাবি, জীবনকৃষ্ণ অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। কিন্তু অনুব্রত জেলে যাওয়ার পর থেকে সেই সম্পর্কে ছেদ পড়ে। যদিও দুই নেতাই বর্তমানে জেল থেকে মুক্তি পেয়ে সক্রিয় রাজনীতিতে ফিরেছেন। সেই কারণে তাঁদের পুরনো সম্পর্ককে হাতিয়ার করে বড়ঞা বিধানসভার সংগঠনকে ঢেলে সাজাতে চাইছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। অনুব্রতকে এই নতুন দায়িত্ব দেওয়ার বিষয়টি জীবনকৃষ্ণকে দলের তরফে জানানো হয়েছে। তাঁর দাবি, অনুব্রতের মতো দক্ষ নেতা বড়ঞার দায়িত্বে এলে তাঁর কাজ করতে সুবিধা হবে।

উল্লেখ্য, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত জীবনকৃষ্ণকে ২০২৩ সালের ১৭ এপ্রিল গ্রেপ্তার করেছিল সিবিআই। ২০২৪ সালের ১৪ মে তিনি জামিন পান। তারপরেই বড়ঞা কেন্দ্র এবং বিধানসভায় গিয়ে কাজকর্ম শুরু করেছেন। ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে প্রচারে জীবনকৃষ্ণের জেলবন্দির ঘটনাকে হাতিয়ার করতে পারে বিজেপি। সেই সময় বিজেপিকে মোকাবিলা করতে পাল্টা প্রচারের প্রয়োজন রয়েছে। এই গুরুদায়িত্ব পালনের জন্য এবার তৃণমূলের দক্ষ সংগঠকের উপর ভরসা রাখলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।