অনুব্রত মণ্ডল বোলপুরে সাংবাদিক সম্মেলন করে বগটুইয়ের ঘটনার তদন্তে সিবিআই ভালো কাজ করছে এবং প্রয়োজনে তাঁরা সিবিআইয়ের কাজে সহযোগিতা করবেন বলেও জানান।
তখনই অনেকে মনে করেছিলেন যে, এবার আর অনুব্রত মণ্ডলের সিবিআইয়ের ডাকে হাজিরা না দিয়ে উপায় না থাকার কারণেই এই অবস্থান নিয়েছেন।
আর সেই অবস্থানের পথ ধরেই দেখা যাচ্ছে, বুধবার ৬ মার্চ কলকাতার নিজাম প্যালেসে হাজিরা দেওয়ার জন্য অনুব্রত মণ্ডল মঙ্গলবার বেলা ১১ টার সময় বোলপুর থেকে সড়ক পথে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দেন।
বুধবার ৬ এপ্রিল বেলা ১১ টা থেকে ১১ টা ১৫ মিনিটের মধ্যে তিনি নিজাম প্যালেসে হাজির হবেন বলে তাঁর আইনজীবী সিবিআই দফতরে গিয়ে জানিয়ে এসেছেন।
ইতিমধ্যে অনুব্রত মণ্ডলের এক সরকারি নিরাপত্তারক্ষীকে সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ করেছে বলে জানা যায়। বিতর্ক এবং কৌতূহল রয়েছে দীর্ঘদিন ধরেই।
গরু পাচার কাণ্ডের তদন্তভার সিবিআই হাতে নেওয়ার পর থেকেই বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য সিবিআই বার বার তাদের কলকাতার নিজাম প্যালেসের দফতরে ডাকলেও তিনি সেখানে হাজির হননি।
বিগত রাজ্য বিধানসভা ভোটের সময় পর্যন্ত সিবিআই বিষয়টি নিয়ে আর সে ভাবে সক্রিয় হয়নি বলে বলা হয়।
কিন্তু ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্তভার কলকাতা হাইকোর্ট সিবিআইয়ের হাতে দেওয়ার পরই, সিবিআই যখন সেই তদন্ত শুরু করে তখন তা শুরু হয় বীরভূম জেলা থেকেই। সেই তদন্তে সিবিআই বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে এবং এখনও তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।
সিবিআই অনুব্রত মণ্ডলকে তাদের কলকাতার নিজাম প্যালেসের দফতরে হাজির হওয়ার কথা বললে তাঁর আইনজীবী জানান যে, তাঁর মক্কেলকে তাঁর বোলপুরের বাড়ির কাছাকাছি কোথাও জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি হাজির থাকবেন। কিন্তু সিবিআই বিষয়টিকে কোনও গুরুত্ব দেয়নি।
দেখা গিয়েছে, যখনই সিবিআই দফতরে হাজিরার দিন পড়েছে তখনই অনুব্রত মণ্ডল কলকাতায় বা বোলপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
একাধিক বার তিনি সিবিআই দফতরে হাজিরা না দেওয়ার ক্ষেত্রে কলকাতা হাইকোর্ট থেকে আইনী রক্ষাকবচ পেয়েছেন।
এভাবে তিনি পাঁচবার আইনী রক্ষাকবচ নিয়ে সিবিআই দফতরে হাজিরা না দেওয়ার রক্ষাকবচ ব্যবহার করেছেন।
কিন্তু কলকাতা হাইকোর্ট সেই আইনী রক্ষাকবচ তুলে নেওয়ার পর বুধবার ৬ এপ্রিল সিবিআই অনুব্রত মণ্ডলকে কলকাতার নিজাম প্যালেসে বেলা ১১ টার সময় হাজির হওয়ার নির্দেশ দেয়।