এবার সিবিআইয়ের পাশাপাশি তদন্তে ইডি। বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে গরুপাচার কাণ্ড এবং ভোট পরবর্তী হিংসায় জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে।
এর জন্য বেশ কয়েকবার সিবিআই দপ্তরে হাজিরা দিতে হয়েছে অনুব্রত কে।
অনুব্রত মন্ডল এর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে সিবিআই। এবার অনুব্রত মণ্ডল এবং সায়গল হোসেনের উপর নজরদারি শুরু করেছে ইডি।
বিশেষ সুত্রে প্রকাশ, দিল্লির ইডি দফতর থেকে কলকাতার সিবিআই দফতরে চিঠি পাঠানো হয়েছে এবং বিভিন্ন তথ্য চাওয়া হয়েছে।
গরু পাচার কাণ্ড এবং কয়লা পাচার কাণ্ডে তদন্ত করতে গিয়ে সিবিআই এর হাতে অনুব্রত মণ্ডল এবং সায়গল হোসেনের বিরুদ্ধে একাধিক তথ্য প্রমাণ উঠে এসেছে।
সায়গল হোসেনের কাছ থেকে বহু সম্পত্তির হদিশ মিলেছে, যা তিনি তাঁর আত্মীয়দের নামে রেখেছেন। এই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির উৎস কী? তা জানার জন্য দীর্ঘক্ষণ জেরা করা হয়েছিল সায়গলকে।
তদন্তে অসহযোগী দেখিয়ে সিবিআই গ্রেফতার করে সায়গল হোসেন কে। গরু পাচার কাণ্ডে ও অনুব্রত মণ্ড লকে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
জানা গেছে, তাঁর বিরুদ্ধে নাকি একাধিক তথ্য প্রমাণ রয়েছে সিবিআই এর কাছে। এবার ইডি, সেই সমস্ত তথ্য, নথিপত্র খতিয়ে দেখতে চাইছে।
এতদিন পর্যন্ত দুটি মামলায় তদন্ত করার পর ওই দুই জনের বিরুদ্ধে কী কী প্রমান পাওয়া গিয়েছে তা খতিয়ে দেখার পরে ইডির তরফ থেকে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
গরু পাচার এবং কয়লা পাচার কাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডল ও সায়গল হোসেনের ভূমিকা কী রয়েছে সেই সম্পর্কে তাঁরা বিভিন্ন জায়গা থেকে ইতিমধ্যে তথ্য প্রমান জোগাড় করতে শুরু করেছেন বলে জানা গেছে।