চরম ভোগান্তির আরেক নাম রিষড়া রেলগেট

রিষড়া রেলগেট সংলগ্ন এলাকার ছবি (Photo@Arnab Biswas/SNS Web)

রিষড়া রেলগেটের সামনে রোজকার পরিস্থিতি এবং যানজটে নাজেহাল সাধারণ মানুষ। রেল গেটের বন্ধ হওয়া থেকে খোলার সময় পর্যন্ত রিষড়া রেল স্টেশন সংলগ্ন রাস্তায় দেখা যায় ব্যাপক ভিড় এবং অপেক্ষারত দু’চাকা, চার’চাকা সহ বিভিন্ন মানুষ। দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে করতে ব্যতিব্যস্ত হয়ে ওঠেন প্রত্যেকে। বিশেষ করে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রায়শই আধ ঘণ্টার বেশি সময় পর্যন্ত বাইক,গাড়ি নিয়ে অপেক্ষা করতে হয় এপার থেকে ওপর যাওয়ার জন্য।

এমনকি অ্যাম্বুলেন্সকেও অপেক্ষা করতে হয় যা চিন্তার এক বড় বিষয়। নিত্যযাত্রীদের সঙ্গে সঙ্গে ভোগান্তির শেষ নেই কোনো অসুস্থ ব্যক্তির। সাধারণ মানুষরা কোনো সুরাহার পথ দেখতে পাচ্ছেন না। তাদের মতে একটা আন্ডারপাস বা সাব ওয়ের খুব দরকার। কিন্তু এই নিয়ে কোনো চিন্তা নেই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের।

এই বিষয়ে রিষড়া পৌরসভার পৌর প্রধান বিজয় সাগর মিশ্রর সাথে কথা হলে তিনি জানান, ” রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মাননীয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেন্ট্রালে রেলমন্ত্রী থাকাকালীন সময়েই রিষড়ায় আন্ডারপাস মঞ্জুর করেন। শুধু তাই নয় রিষড়া ৪ নং রেল গেটে ফ্লাইওভার, কামারকুন্ডু ফ্লাইওভার নির্মাণের কাজের অনুমোদন দিয়েছিলেন। কিন্তু এনডিএ সরকার কেন্দ্রে আসার পর আর রেলের কিছু বিজেপি নেতা এই আন্ডারপাসের কাজটিতে ব্যাঘাত সৃষ্টি করছেন।


রিষড়া পৌরসভার পক্ষ থেকে রেলকে প্রায় ২২টির বেশি চিঠি দেওয়া হয়েছে এবং তাদের কথা মতন ট্রান্সফর্মার, ইলেকট্রিক পোল, কেএমডিএ’র পাইপ লাইন তথা পৌরসভার যে যে অংশে সেগুলো ছিল তার স্থান পরিবর্তন করানো হয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে। এই কাজগুলোর পরেও এখনো পর্যন্ত রেল কর্তৃপক্ষ কোনো কাজ শুরু করেননি।

তিনি আরও বলেন, রিষড়ার এক জ্বলন্ত সমস্যা হল রিষড়া রেলগেট সংলগ্ন এলাকার যানজট। যার জন্য সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে অসুস্থ মানুষরাও ভোগান্তির শিকার হন। তিনি অভিযোগ আনেন বিজেপি’র সে সকল নেতাদের বিরুদ্ধে যারা নিজেদের জনদরদি বলে দাবি করেন কিন্তু রিষড়া রেলস্টেশন সংলগ্ন এই যানজটের সমস্যায় চুপ হয়ে আছেন এবং কেন এই বিষয়ে তারা গুরুত্ব আরোপ করেছেন না? বলে প্রশ্ন তোলেন বিজয় বাবু।

তিনি বলেন,’ হয়তো ইচ্ছাকৃতভাবে রেলে উর্দ্ধতন আধিকারিকদের উপর প্রভাব বিস্তার করে তারা কাজ বন্ধ করে রেখেছেন। বারবার রেলকে চিঠি দেওয়া সত্ত্বেও কাজ এগোচ্ছে না এবং তারা যে করবেন না এমনও তারা বলছেন না. তবে কিসের জন্য আটকে আছে কাজ তাও বুঝতে পারা যাচ্ছে না। হয়তো আসন্ন পৌরসভা ভোটে এটিকে বিজেপি অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করতে চাইছেন বলেও তিনি সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।

কারণ মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় রিষড়া পৌরসভা যেভাবে গঠনমূলক উন্নয়নের কাজ করেছে এবং মানুষের কাছে নানান প্রকল্প পৌঁছে দিয়েছে তাতে সাধারণ মানুষ খুশি।

আর দেখতে গেলে সে অর্থে রিষড়ায় কোনো সমস্যা নেই তাই তারা একটু ভয়ে আছেন এবং রেলগেটের এই ব্যাপারটাকে একটা রাজনৈতিক কারণ হিসাবে তুলে ধরতে চাইছেন, যদিও এতে লাভ কিছুই হবে না বলে জানান বিজয় সাগর মিশ্র।