আরজিকর কাণ্ডের প্রতিবাদে দুর্গাপুজোর অনুদান প্রত্যাখ্যানের সিদ্ধান্ত হুগলির আরও একটি ক্লাবের

ফের আরজিকর কাণ্ডের প্রতিবাদে দুর্গাপুজোর অনুদান প্রত্যাখ্যানের সিদ্ধান্ত হুগলির শ্রীরামপুরের বৈদ্যবাটি সদগোপপাড়া মহিলা মিলন চক্রের। দুর্গাপুজোর অনুদান প্রত্যাখ্যান করে তাঁদের দাবি, এই বছর সরকারি অনুদান নয়, সরকারের কাছে সুবিচারের দাবিতে এই সিদ্ধান্ত। শনিবার ক্লাবের তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে শ্রীরামপুর মহকুমা শাসকের দপ্তরে এবং থানায় চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে। তাঁরা বিবৃতিতে এও উল্লেখ করেছে, আরজি কর কাণ্ডে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হলে তবেই আগামী বছর থেকে তাঁরা আবার অনুদান গ্রহণ করবেন।

পুজো কমিটির সভাপতি তপতী মুখোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা তো কারোর মা কারোর স্ত্রী, কারোর মেয়ে। তাই আমাদের কাছে মেয়েদের সুরক্ষা সবচেয়ে আগে। আমরা মনে করি, হাসপাতাল সব চেয়ে সুরক্ষিত জায়গা। আর সেই হাসপাতালেই যদি এক মহিলা চিকিৎসকের সঙ্গে এমন ন্যক্করজনক ঘটনা ঘটে, তাহলে তো তার প্রতিবাদ করতেই হয়। আমরা এ বছর সরকারের অনুদান প্রত্যাখ্যানের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয় কি না দেখি, তারপর অনুদান নিয়ে ভাবব।’ পুজো কমিটির সদস্য মহালক্ষ্মী মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘যে নারকীয় হত্যাকাণ্ড হয়েছে, আমরা মহিলারা তার প্রতিবাদ করবই। অনুদান চাই না, আমরা চাই বিচার।’

প্রসঙ্গত, এর আগে আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে হুগলির আরও চারটি ক্লাব অনুদান প্রত্যাখ্যানের কথা জানিয়েছিল। তারা হল, ‘উত্তরপাড়ার বৌঠান সঙ্ঘ’, ‘উত্তরপাড়া শক্তি সঙ্ঘ’, ‘আপনাদের দুর্গাপুজো’ এবং কোন্নগরের ‘মাস্টারপাড়া সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি’। এবার সেই দলে পা মেলালো হুগলির ‘বৈদ্যবাটি সদগোপপাড়া মহিলা মিলন চক্র’। দুর্গাপুজোয় কার্যত রাজ্য সরকারের তরফে ক্লাবগুলিকে গত বছর ৭০ হাজার টাকা করে দেওয়া হত। এই বছর সেই অনুদান বেড়ে হয়েছে ৮৫ হাজার টাকা। কিন্তু আরজিকর কাণ্ডে চিকিৎসক তরুণী খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় এই বছর প্রতিবাদের ভাষা হিসাবে বেশিরভাগ ক্লাবই এই সরকারি অনুদান প্রত্যাখ্যানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইতিমধ্যেই অনুদান না নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে জয়নগর মজিলপুর পুরসভার ৭ ও ১৪ নম্বর ওয়ার্ড, মুর্শিদাবাদের কৃষ্ণপুর সন্ন্যাসীতলা মহিলা দুর্গোৎসব কমিটি এবং কলকাতার মুদিয়ালি আমরা ক’জন ক্লাবও।