উদ্বেগ বাড়িয়ে বাংলায় সংক্রমিত আরও ৯৮৬ জন, মৃত ২৩

প্রতিকি ছবি (Photo: AFP)

বাংলায় করোনা পরিস্থিতি ক্রমশ আরও কঠিন হয়ে উঠছে। প্রতিদিনই রেকর্ড সংখ্যক ব্যক্তি এই মারণ ভাইরাসে সংক্রমিত হচ্ছেন। বাড়তে বাড়তে সেই সংখ্যাটা বুধবার এক হাজারের দোরগোড়ায় পৌঁছে গিয়েছে। আর গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতের সংখ্যা সামান্য হ্রাস পেলেও সামগ্রিক চিত্র এখনও যথেষ্ট উজ্জ্বগজনক।

বাংলায় করোনার বাড়বাড়ন্তে লাগাম টানতে বুধবার নবান্নে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের পরে একগুচ্ছ সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, আগামী বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে কনটেইনমেন্ট জোনগুলিতে ফের লকডাউন শুরু হচ্ছে। এখন রেড জোন ও বাফার জোন মিলিয়ে কনটেইনমেন্ট জোন করা হবে। কনটেইনমেন্ট জোনের বাসিন্দারা জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বেরোতে পারবেন না।

আপাতত সাতদিন পরিস্থিতি পর্যালোচনার পরে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এ ছাড়া কোনও ব্যক্তি মাস্ক না পরে রাস্তায় বেরলে পুলিশ তাকে আটক করে বাড়ি পাঠিয়ে দেবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পরে নবান্ন থেকে এদিনের করোনা বুলেটিন প্রকাশ করা হয়।


আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে গত ঘণ্টায় রাজ্যের পরিস্থিতির আরও অনেকটা অবনতি হয়েছ। পরিসংখ্যান বলছে, ৮ জুলাই সকাল ৯টা পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুসারে গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে আরও ৯৮৬ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। ফলে রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা গতকালের ২৩ হাজার ৮৩৭ থেকে বেড়ে হয়েছে ২৪ হাজার ৮২৩ জন। এর মধ্যে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৬ হাজার ২৯১ জন। আর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে ৭ হাজার ৭০৫ জনের।

জাতীয় গড়ের থেকে রাজ্যে সুস্থতার হার ভালো। বর্তমানে রাজ্যে করোনা-মুক্তির হার ৬৫.৬২ শতাংশ। এদিকে, রাজ্যে করোনায় মৃত্যু মিছিল এখনও অব্যাহত। গত ২৪ ঘন্টায় বাংলায় আরও ২৩ জন এই মাল ভাইরাসের বলি হয়েছেন। ফলে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৮২৭ জন।

জেলাগুলির মধ্যে কলকাতায় এখনও নয়া আক্রান্তের সংখ্যা সর্বাধিক। শহরে একদিনে ৩৬৬ জন নতুন করোনা রোগীর খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৪৬ জন। পাশের জেলা উত্তর ২৪ পরগনায় নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ২২৩। ফলে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৪ হাজার ৩৫৩ জন।

এদিকে, ১০৬ জন নয়া আক্রান্ত-সহ হাওড়ায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা তিন হাজার ৩৯৮ জন। আর দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকেও আরও শতাধিক ব্যক্তির করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে।