রবিবার উত্তরবঙ্গের একাধিক জায়গাতে আদিবাসীরা রেল অবরােধ করে। সেই অবরােধের জেরে আটকে পড়ে বহু ট্রেন। যার ফলে সাধারণ মানুষের সঙ্গেই পাবলিক সার্ভিস কমিশনের ক্লার্কশিপের পার্ট -১ তে বসতে চলা অনেক পরীক্ষার্থীরাই পরীক্ষাতে বসতে পারেনি। তাই রাজ্য সরকারের অনুরােধে পাবলিক সার্ভিস কমিশন পরীক্ষার্থীদের পুনরায় পরীক্ষায় বসার ব্যবস্থা করেছে। এদিন পরীক্ষায় বসতে না পেরে হতাশ পরীক্ষার্থীরা । তাদের অনেকেই হাতে অ্যাডমিট কার্ড নিয়ে বিভিন্ন স্টেশনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন।
তার কয়েক ঘণ্টা বাদেই স্বরাষ্ট্র দফতরের তরফ থেকে একটা টুইট করে বলা হয়, রেল অবরােধের জন্য শিলিগুড়িতে ক্লার্কশিপ পার্ট -২ গ্রীক্ষা দিতে যেসব পরীক্ষার্থী যেতে পারেননি, তাদের যাতে দ্বিতীয় সুযােগ দেওয়া হয়। সেই আবেদন পিএসসিকে করেছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। পিএসসি সেই অনুরােধ মেনেছে। আজ যারা পরীক্ষা দিতে পারেননি, খুব তাড়াতাড়ি তাদের আবার পরীক্ষা নেওয়া হবে।
এদিকে আদিবাসীদের বিক্ষোভের মুল দাবি ছিল, অন্যান্য ধর্মের মতাে সারনা ধর্মকেও একটি ধর্মের বৈধতা দিতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারকে। এই দাবি নিয়ে তারা সকাল ৬ টা থেকে রেললাইনে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। ডালখােলা, আদিনা সহ একাধিক জায়গায় আদিবাসী সিঙ্গল অভিযান পার্টির নেতৃত্বে হয় এই বিক্ষোভ। তাদের ব্যনারে লেখা ছিল , আদিবাসী হিন্দু নয় , আদিবাসী মুসলিম নয়, আদিবাসী খ্রিস্টান নয়। ২০২১ সালের জনগণনাতে আদিবাসীদের জন্য পৃথক ধর্ম আনতে হবে। সারনা ধর্ম।
এই দাবিতেই চাকা বন্ধের দাবি তােলেন তারা। রেললাইন ছাড়াও ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কেও অবরােধ হয়। তার ফলে গুয়াহাটি আনন্দবিহার এক্সপ্রেস, শিয়ালদহ নিউ জলপাইগুড়ি এক্সপ্রেস, শিয়ালদহ নিউআলিপুরদুয়ার এক্সপ্রেস, অমৃতসর-ডিব্রুগড় এক্সপ্রেসের মতাে অনেক দূরপাবার ট্রেন আটকে পড়ে। তবে এই পরীক্ষা কবে হবে তা পিএসসি’র তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।