তৃণমূলের পাঁশকুড়া ব্লক কার্যকরী সভাপতি কোরবান শায়ের হত্যা মামলায় জামিন পেলেন অন্যতম অভিযুক্ত আনিসুর রহমান। শুক্রবার শীর্ষ আদালত আনিসুরের জামিন মঞ্জুর করে। ২০১৯ সালে অক্টোবর মাসে তৃণমূল নেতা তথা পাঁশকুড়া পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি কোরবান শা খুন হন। সেই ঘটনায় রাজ্যজুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল।
বামফ্রন্ট আমলে সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফের পাঁশকুড়া জোনাল সম্পাদক পদে ছিলেন আনিসুর রহমান। দলবিরোধী কাজের অভিযোগে বহিষ্কৃত হন আনিসুর। ২০০৬ সালে আনিসুর যোগ দেন তৃণমূলে। পাঁশকুড়া পুরসভার কাউন্সিলরও হন জোড়াফুলের টিকিটে। দলীয় কোন্দলের জেরে তৃণমূল তাঁকে ৬ বছরের জন্য সাসপেন্ড করে।
এরপর মুকুল রায়ের হাত ধরে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন আনিসুর রহমান। বিজেপিতে থাকাকালীনই আনিসুরের বিরুদ্ধে কোরবানকে খুনের অভিযোগ উঠেছিল। ২০১৯ সালে অক্টোবর মাসে নবমীর রাতে দলীয় কার্যালয়ে খুন হয়েছিলেন কোরবান। তাঁর নিরাপত্তা রক্ষীরা ছুটিতে ছিলেন। সেই সুযোগেই তৃণমূল নেতাকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি ছোড়ে দুষ্কৃতীরা। মৃত্যু হয় কোরবানের।
নিহত নেতার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে সিট গঠন করে রাজ্য ছাড়িয়ে একাধিক স্থানে তল্লাশি অভিযানে নামে জেলা পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয় আনিসুর সহ বেশ কয়েকজনকে। ২০২১-এর ২৬ ফেব্রুয়ারি আনিসুরের বিরুদ্ধে সব মামলা প্রত্যাহারের বিজ্ঞপ্তিও জারি করেছিল রাজ্য সরকার। পরে অবশ্য কলকাতা হাইকোর্ট সেই বিজ্ঞপ্তি খারিজ করে দেয়।
আনিসুরের পরিবার একাধিকবার দাবি করেছিলেন, তিনি নির্দোষ। তাঁদের তরফে আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার বার্তাও দেওয়া হয়। এরপর জামিনের জন্য সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন আনিসুর। অবশেষে শীর্ষ আদালত থেকে জামিন পেলেন তিনি।