মাসে দুদিন রাজ্যে আসবেন অমিত শাহ এবং তিনদিন জে পি নাড্ডা

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্টমন্ত্রী অমিত শাহ (Photo: IANS)

লক্ষ্য একুশের নির্বাচন, বাংলার মসনদ দখল করতে এবার থেকে প্রত্যেক মাসে দুদিন রাজ্যে থাকলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং তিনদিন রাজ্যে থাকবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎ প্রকাশ নাড্ডা, গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর এমনটাই। 

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের নির্বাচনকে মাথায় রেখে বাংলাকে পাঁচটি জোনে ভাগ করেছে কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব এবং এই জোনগুলির দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয়েছে হেভিওয়েট নেতাদের মধ্যে, যাদের মধ্যে রয়েছেন বিনােদ সােনকর, সুনিল দেওধর, দুষ্মন্ত গৌতম, বিনােদ তাওড়ের মত নেতারা। 

সূত্রের খবর, ৩০ নভেম্বর ফের রাজ্যে আসতে পারেন অমিত শাহ। যদিও এখনাে পর্যন্ত এই সম্পর্কিত বিস্তারিত সূচি রাজ্য বিজেপির হাতে এসে পৌঁছয়নি। তবে এই পাঁচটি জোনের পর্যবেক্ষকদের একটি নির্দিষ্ট রিপাের্ট তৈরি করে তা অবিলম্বে অমিত শাহের কাছে পাঠানাের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, জানা গেছে এমনটা। এই রিপাের্টের ওপর ভিত্তি করেই অমিত শাহ পরবর্তী পদক্ষেপ নেনে বলে মনে করা হচ্ছে।


প্রসঙ্গত, দুদিনের বঙ্গ সফরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বঙ্গ বিজেপিকে ২০০ টি আসন জয়লাভের টার্গেট দিয়ে গেছেন। আর সেই টার্গেট পূর্ণ করতে ইতিমধ্যেই ময়দানে নেমে পড়েছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। কিন্তু শুধু রাজ্য নেতৃত্ব নয়, সফল কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতাদের হাতে বঙ্গ দলের দায়িত্ব ছাড়তে চান অমিত শাহ। ইতিমধ্যেই একাধিক হেভিওয়েট কেন্দ্রীয় নেতার নাম শােনা যাচ্ছে যাদের বিধানসভা ভােটের আগে পশ্চিমবঙ্গে প্রচারের জন্য নিয়ে আসা হতে পারে। 

ইতিমধ্যেই বিজেপির আইটি সেল-এর প্রাক্তন প্রধান অমিত মালভিয়াকে বঙ্গ বিজেপির সহকারি পর্যবেক্ষত্রে দায়িত্ব দিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। এই পদক্ষেপ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। ডিজিটাল মাধ্যমে প্রচার চালিয়ে একটি বড় জনসমর্থন পাওয়ার আশা করছে গেরুয়া শিবির। আর সেই লক্ষ্যেই অমিত মালভিয়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। 

গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর, বাংলায় ভােটের আগে ৫০ জনেরও বেশি কেন্দ্রীয় নেতা প্রচার এবং সংগঠনের কাজ তদারকি করবেন। মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী বিনােদ তাওড়ে আসতে পারেন বাংলাতে জানা যাচ্ছে এমনটাই। এছাড়াও অরুণ সিংহ, দুষ্মন্ত গৌতম, বিনােদ শােনকর সহ তাবড় তাবড় কেন্দ্রীয় নেতারা ভােটের আগে ঘাঁটি গাড়তে পারেন এই বঙ্গভূমিতে।