ঝাড়গ্রাম জেলার চার বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী হয়ে আজ প্রচারে আসছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ । তার আগে জোরকদমে প্রচার ও অমিত শাহ’র সভার প্রস্তুতি একেবারে তুঙ্গে।
এদিন রবিবার সকাল থেকে ঝাড়গ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী সুখময় শতপথী, বিনপুর প্রার্থী পাহালান সরেন, গােপীবল্লভপুরের প্রার্থী সঞ্জিত মাহাত ও নয়াগ্রামের প্রার্থীও ভােট জোরকদমে ভােট প্রচার করছেন।
সােমবার ঝাড়গ্রাম জামদা সার্কাস ময়দানে সভা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বিজেপির এই সভায় ষাট হাজার লােক হবে বলে দাবি বিজেপির। উল্লেখ্য পঞ্চায়েত ভােট থেকে বিজেপি উত্থান শুরু হয় ঝাড়গ্রাম জেলায়। তারপর লােকসভা বিধানসভা নির্বাচনে ঝাড়গ্রাম লােকসভা কেন্দ্রটি দখল করে। তাই বিধানসভা ভােটে বিজেপির নেতাকর্মীদের মনােবল একেবারে চাঙ্গা রয়েছে।
তবে লােকসভা ভােটের পর অনেকটাই বদলেছে রাজনৈতিক সমীকরণ। আর শাসক দলের ভাঙ্গা ঘর অনেকটাই গুছিয়ে নিয়েছে। যার ফলে একের পর এক বিজেপি সভায় লােকজন দেখা যায়নি। এমনকি লালগড়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সভা একেবারে ফ্লপ হয়েছে। তাই এখন দেখার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভায় এখন কত লােক হবে। যদিও তৃণমূলের দাবি বিজেপি বাইরের থেকে লােক নিয়ে না এলে ঝাগ্রামের মানুষ আসবেন না।
অন্যদিকে বিজেপিকে কোণঠাসাতে একের পর সভা করলে তৃণমুলের হেভিওয়েট নেতামন্ত্রীরা। আগামী ১৭ মার্চ ঝাড়গ্রামের চারটি বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূলের প্রার্থীদের হয়ে গােপীবল্লভপুর ও লালগড়ে সভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর ১৯ মার্চ বিনপুর বিধানসভার পড়িহাটিতে সভা করবেন রাজ্য যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
তাই সব মিলিয়ে শাসক ও শাসক বিরােধী বিজেপি সহ অন্যান্য দল গুলিও ভােট প্রচার করছে জোরকদমে। জঙ্গলমহলের এক ইঞ্চি জমি কেউ কাউকে ছাড়তে নারাজ। এবিষয়ে ঝাড়গ্রাম জেলা সভাপতি তুফান মাহাত বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী রাজকলেজের হেলিপ্যাড গ্রাউন্ডে নামবেন। তার সেখান থেকে সােজা সভাস্থলে আসবেন। সভার সব রকমের প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে।